ডেস্ক রিপোর্ট:: নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাটে নৈশপ্রহরীকে খুন করে দুই স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় পাঁচ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম, মো. এমদাদ ও ইকবাল হোসাইন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে রাতে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দি দেওয়া পাঁচ আসামি হলেন- লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামের মৃত শহীদুল্লার ছেলে মো. নোমান (৩৫), একই উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়নের পশ্চিম চর মার্টিন গ্রামের মোরশেদ আলমের বাড়ির মো. মোরশেদ আলমের ছেলে মো. সুজন হোসেন (২৭), হাজীরহাট ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির সুভাষ চন্দ্র সরকারের ছেলে কৃঞ্চ কমল সরকার (৩২), বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর এলাকার মুন্সি বাড়ির মৃত অলি উল্যার ছেলে সালাউদ্দিন (৩২) ও কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জৈনদপুর গ্রামের মোশারফ বিএসসির বাড়ির মৃত মো. শহীদুল্লার ছেলে মো. মিজানুর রহমান ওরফে রনি (৩৬)।
কবিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আসামিদের নোয়াখালীর চিফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে রাতে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে সকালে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রোববার পাঁচ ডাকাত ও তাদের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৬০ ভরি স্বর্ণ, ১৬০ ভরি রূপা এবং লুণ্ঠিত স্বর্ণ, রূপা বিক্রির ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ, একটি গ্যাস সিলিন্ডার ও একটি পাইপ উদ্ধারের কথা জানান পুলিশ সুপার।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ডিসেম্বর ভোরে কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারে নৈশপ্রহরীকে হত্যার পর দুটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কবিরহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আনুমানিক ১০/১৫ জনের একটি ডাকাত দল রাত ৩টার পর চাপরাশিরহাট বাজারে প্রবেশ করে নৈশপ্রহরীসহ অন্যান্য চলাচলকারী লোকজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে আনুমানিক দেড়/দুই ঘণ্টাব্যাপী ডাকাতি করে। এ সময় ডাকাত দলকে বাধা দিতে গেলে তারা নৈশপ্রহরী শহিদুল্লাহকে মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই নৈশপ্রহরী শহিদুল্লাহ মারা যান। হত্যাসহ ডাকাতির ঘটনায় কবিরহাট থানায় মামলা করা হয়।