নীলফামারীর ইটাখোলা বাদিয়ার মোড় গৌড়িয় মিশন হরি মন্দিরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত আটটায় মন্দিরের পিছনের ব্যাড়ায় আগুন লাগিয়ে দিলে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন মন্দিরের জমি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অংশ হিসেবে দুষ্কৃতিকারীরা এ ঘটনা ঘটিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির পায়তারা করছে।
রাত আটটার দিকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হলে খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সেখানে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এমনকি অক্ষত রয়েছে প্রতিমা। মন্দির কমিটির সভাপতি ডাঃ রাম কৃষ্ণ রায় বলেন, সম্প্রতি মন্দিরের জমি দখল নিয়ে যে ঘটনার অবতারণা হয়েছে তারই অংশ এটি। চক্রান্ত মুলক ভাবে এটা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু রায় বলেন পেট্রোল বা কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগানো হয়। এটা পরিকল্পিত। ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য এবং এখানকার হিন্দুদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির পরিকল্পনা। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই। খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান হাফিজুর রশিদ মঞ্জু ছুটে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিচারের সম্মুখিন হতে হবে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সাফিজুল ইসলাম বলেন মন্দিরের জমি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে এ মুহুর্ত্বে এরকম ঘটনা ন্যাক্কার জনক যা সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে। ফায়ার সার্ভিস দলে নেতৃত্ব দেয়া ফরহাদ হোসেন জানান, মন্দিরের পেছনের ব্যাড়ায় আগুন লাগলে আমরা তা নিয়ন্ত্রণে আনি, কিন্তু এর সুত্র পাওয়া যায়নি।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/নুর আলম/নীলফামারী