বিইআরসির ঘোষিত দাম নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে এ খাতের কোম্পানিগুলোর সংগঠন এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব)। তারা দাম নির্ধারণে আবার গণশুনানি আয়োজন করতে আবেদন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ও ৮ জুলাই শুনানির জন্য বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল বিইআরসি। করোনা পরিস্থিতির কারণে শুনানি স্থগিত করা হয়।
এদিকে ১২ জুলাই বিইআরসিকে চিঠি দিয়ে গণশুনানি না হওয়া পর্যন্ত কোনো অভিযান না চালাতে অনুরোধ করেছে লোয়াব। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জুলাই লোয়াবকে পাল্টা চিঠি দিয়ে বিইআরসি বলেছে, ঘোষিত মূল্যহার বাস্তবায়ন না করলে তারা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
বিইআরসি বলছে, সব পক্ষকে নিয়েই গণশুনানি করে এপ্রিলে দাম নির্ধারণ করা হয়। এরপর থেকে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এর জন্য বিইআরসি একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে। যদিও ওই কমিটির কোনো বৈঠকে অংশ নেননি লোয়াবের প্রতিনিধি।
বিইআরসির সদস্য (জ্বালানি) মকবুল-ই-ইলাহি চৌধুরী বলেন, গণশুনানি ছাড়া লোয়াবের দাম বাড়ানোর আবেদন বিবেচনা করার কোনো সুযোগ নেই। ব্যবসা করতে চাইলে সবাইকে আইন মেনেই করতে হবে। ব্যবসায়ীরা চাইলে আদালতে যেতে পারে।