মোঃ হাসিব বিল্লাহ, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:: নির্মানের একমাসের মধ্যেই কচা নদীর বেড়ীবাধ বিলীন। সীমাহীন দূর্ভোগে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
দক্ষিনাঞ্চলের নদী বেষ্টিত উপকুলীয় উপজেলা ইন্দুরকানী সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত বেড়ীবাধ ১০ বছর পর নির্মান হলেও এক মাসের মধ্যে অধিকাংশ বেড়ী বাধ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এ উপজেলায় বেড়েী বাধ না থাকায় এক বছর আগে ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে নদীর তীরবর্তী বাধ নির্মানের জন্য ৮৫ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয় যাহা প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করার কথা।
কিন্তু বর্ষা মৌসুম থাকায় ২০১৭ সালে সম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত করতে না পারায় এ বছর কচা নদীর টগড়া গ্রামের বেড়ীবাধের নির্মান কাজ সম্পন্ন করেন। কিন্ত এক মাস যেতে না যেতেই পানির তোরে টগড়া ফেরিঘাট থেকে মজিবরের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ কিঃমিঃ বেড়ীবাধ বিলীন হয়ে যায়।
এভাবে কচানদীর তীরবর্তী অন্য বেড়ীবাধ গুলো পানির তোরে ধসে যাচ্ছে। এতে নদী উপকুলবর্তী বাসিন্দারা বন্যা ও জলোচ্ছাসের ঝুকিতে পড়েছে।
স্থানীয় টগড়া গ্রামের ইউপি সদস্য আঃ রাজ্জাক হাওলাদার জানান যে বাধ নির্মান করেছে তা একমাসের মধ্যেই বিলীন হয়ে গেছে। এখন গ্রাম বাসীকে রক্ষার জন্য দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক শক্তিশালী বাধ নির্মান প্রয়োজন।
এ বিষয় বাধ নির্মান কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান কচানদীর তীরবর্তী বাধ আমরা নিয়মানুযায়ী নির্মান করেছি কিন্তু পানির স্রোতে বিলিন হয়ে গেলে আমাদের করার কিছুই নেই। নদীর তীরবর্তী গ্রামবাসীদের জান মাল রক্ষার জন্য বর্ষা মৌসুমের আগেই বেড়ীবাধ নির্মান জরুরী।
পিরোজপুর পানি উন্নয় বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় বেড়ীবাধ নির্মানের জন্য বড় প্রকল্পের টেন্ডার হয়েছে। অচিরেই কাজ শুরু হবে। এবং নদীতীরবর্তী সকল বেড়ীবাধ নির্মান করা হবে।