ঢাকা: চলমান এই রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে একদিকে যেমন সরকারের পুলিশ বাহিনীর ধরপাকড় অন্যদিকে বিরোধী দলের হরতাল কর্মসূচি সব কিছু মিলিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গোটা দেশের মানুষ, এবং কূটনৈতিক চাপে রয়েছে সরকার। গণ গ্রেফতারের  বিষয়ে সরকারের নিরাপত্তা বিভাগের উচ্চপর্যায়ের এক সূত্র জানায়, সরকার দেশের জনগনের জান মালের নিরাপত্তার কথা ভেবে এধরনের গণ গ্রেফতারে বাধ্য হচ্ছে।

সূত্র আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা যাতে করে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে সে বিষয়েও চেষ্টা করা হবে। গ্রেফতারকৃত প্রসঙ্গে সরকার মহলে বিদেশী কূটনৈতিক কোন চাপ আছে কিনা জানতে চাইলে সুত্রটি এড়িয়ে যান এবং বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারবো না। অপরদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একটি ঘনিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভারত এবং আমেরিকার কুটনৈতিক সবচেয়ে বেশি চাপ রয়েছে সরকারের উপর।

তবে ভারত এতে সরাসরি ভূমিকা না রাখলেও আমেরিকারে এ্যম্বাসির মাধ্যমে প্রকাশ করছে। এদিকে এই পুলিশি গণ গ্রেফতার অভিযানের কারনে দেশের সাধারন জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও ভয় কাজ করছে। রাস্তায় অলিতে গলিতে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন দেয়া, সংঘর্ষ এবং জান মালের নিরাপত্তাহীনতায়  ভুগছে দেশের জনগণ।

বর্তমান এই রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনের জন্য সাধারন জনগনের চাওয়া, দেশের এই প্রধান দু’দলকেই একসাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে ব্যাপক এই সমস্যা সমাধান করা। তাদের দ’জনের জেদাজেদীর কারনে আজ দেশ চরম অচল অবস্থা হয়ে পড়েছে। এদিকে সরকারের একটি কুটনৈতিক সূত্র ডিনিউজ’কে জানায়, বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে এই হরতাল কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য ‍অনুরোধ করা হয়েছে ।

এবং সরকারকেও একইভাবে গ্রেফতার কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। গ্রেফতার প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের গোপন এজেন্ডারা আমদের দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায় বিএনপিসহ ১৮-দলীয় জোটকে। কিন্তু এই চেষ্টা বিফলে যাবে সরকারের। এ জন্যই সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নেতা কর্মীদের কাছ থেকে দুরে রাখার চেষ্টা করছে। তবে সাধারন মানুষের ইচ্ছে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক।

এইচ.এম জাকারিয়া/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here