বিএনপি নেতা ও আড়াইহাজার উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আনুকে সোমবার বিকালে বিআরডিবি অফিস থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় অনু অফিসের কাজকর্ম করছিল। পরে একটি সাজানো হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিকালে আদালতে পাঠানো হয়। তিনি হাইকোর্টের নিদের্শে দীর্ঘদিন ধরে পুলিশি নিরাপত্ত্বা বেষ্টনিতে রয়েছেন। গ্রেফতারের সময়ও তিনি পুলিশি নিরাপত্ত্বা ব্যবস্থায় ছিলেন। গ্রেফতারের পর দীর্ঘসময় পুলিশ সাংবাদিকদের কোন তথ্য দেয়নি। এদিকে আড়াইহাজার থানার এস আই বাদী হয়ে দায়েরকৃত আগের একটি হত্যার সাজানো মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে আদালত আজ মঙ্গলবার শুনানীর দিন ধার্য করে। বিএনপি নেতা অনুকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় গ্রেফতার করার প্রতিবাদে বিড়্গোভ মিছিল করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা।

এদিকে আনু গ্রেপ্তারের ঘটনায় স্থানীয় আ’লীগ এমপি নজরুল ইসলাম বাবু সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, আনু আড়াইহাজারের এলাকার জনপ্রিয় নেতা। সে আগামীতে পলস্নী উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রার্থী হবেন। সে যাতে এ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন সেজন্যই তাকে স্থানীয় এমপি নজরম্নল ইসলাম বাবু গ্রেফতার করিয়েছেন। তবে আড়াইহাজার থানার ওসি সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান,  একটি মামলায় আনুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরম্নদ্ধে একটি জিডিও রয়েছে। কোন রাজনৈতিক দলের নেতা কিংবা কারো চাপে আনুকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

প্রসঙ্গত ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আ’লীগ প্রার্থী শাহজালাল মিয়ার বিরম্নদ্ধে। একই গ্রামে বাড়ি হবার কারণে তখন তাকে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার জন্য শাসিয়ে দেন স্থানীয় আ’লীগের নেতাকর্মী ও প্রভাবশালী মহল। কিন্তু তিনি ওই নিষেধ না শুনে নির্বাচন করেন এবং পরাজিত হন। উপজেলা নির্বাচনের পর থেকেই সরকারী দলীয় ক্যাডার বাহিনী তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভিটে মাটি ছেড়ে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন।

আনু আড়াইহাজার উপজেলা পলস্নী উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকা সত্ত্বেও পালিয়ে থাকার কারণে তিনি তার অফিসে যেতে পারেনি। ২০১০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতের এক আদেশের পর ওই বছরের ১০ অক্টোবর তিনি বোর্ডের অফিসে গিয়ে চেয়ারম্যানের আসনে বসেন। আদালত তখন থেকেই তাকে পুলিশের প্রহরা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ প্রহরায় তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/মাকসুদুর রহমান কামাল/নারায়ণগঞ্জ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here