কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। দুপুরে শহরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
সভায় তৈমুর বলেন, বর্তমান সরকারের একের পর এক অত্যাচার, নির্যাতন ও নিত্য পণের দাম বৃদ্ধি করায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। সাধারণ মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তারা এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চান না। সরকার বিরোধী আন্দোলন আরো জোরদার ও সরকারের পতন ঘটাতে টানা ১০০ ঘণ্টা হরতার কর্মসূচীর ঘোষণা দিতে তৈমুর তার বক্তব্যে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি বলেছেন, টানা হরতালের মাধ্যমেই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজানো সম্ভব। গত ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে তৈমুর বলেন, এ নির্বাচন হয়েছে প্রহসনের। এ কারণেই দলের চেয়ারপারসন নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন। আমি দলের একজন নেতা হয়ে নেত্রীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে দলের কঠিন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীকে ম্যানেজ করতে পারেনি খোদ প্রধানমন্ত্রী। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি গণতান্ত্রিক চর্চায় বিশ্বাসী।
নির্বাচন থেকে পলায়ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের বক্তব্যের সমালোচনা করে তৈমুর বলেন, বিএনপি পালিয়ে যায়নি। আগামীতে-ই প্রমাণ হবে আন্দোলনের ধাওয়ায় কারা পালিয়ে যায়। সভায় বক্তারা সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা কাজী মনিরুজ্জামান, জান্নাতুল ফেরদৌস, আনোয়ার হোসেন খান, এটিএম কামাল, মাকসুদুল খোরশেদ, মামুন মাহমুদ প্রমুখ। প্রতিবাদ সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস কাবের সামনে এসে শেষ হয়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/মাকসুদুর রহমান কামাল/নারায়ণগঞ্জ