নাটোর জেলার ১০৫ টি বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেড় হাজার শিক্ষক-কর্মচারী অক্টোবর মাসের বেতন ও ঈদ-উল-আযহার উৎসব ভাতা না পাওয়ায় মুসলিম সমপ্রদায়ের বৃহৎ উৎসব ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত।
কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের অক্টোবর মাসের বেতন ও উৎসব ভাতা পেয়েছেন। কিন্তু কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন নাটোর জেলার বেসরকারি কারিগরি ৩৪ টি কলেজ ও ৭১ টি স্কুলের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক কর্মচারী বেতন ও উৎসব ভাতা না পাওয়ায় ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বেসরকারি কারিগরি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা জানান, ঈদের আগে বেতন ও উৎসবভাতা না পাওয়ায় অনেকের কোরবানী দেওয়া হবে না। আর্থিক সংকটের কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ করতে পারছেন না। তারা অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার সময় ব্যাংকে বেতন পৌঁছায়। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর বেতন বিল জমা না নিয়ে ফিরিয়ে দেন। যার ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা টাকা পাননি।
সোনালী ব্যাংক নাটোরের লালপুর শাখার ব্যবস্থাপক ফিরোজ আহমেদ বেতন বিল দুপুরে পৌঁছার কথা স্বীকার করে জানান, তাঁর নিকট কারিগরি প্রতিষ্ঠানের বেতন বিল জমা দেননি। ব্যাংক থেকে কাউকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা তিনি জানেন না।
নাটোর জেলা কারিগরি কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী সমিতির সভাপতি আকরাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে বেতন ও উৎসব ভাতা না পাওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ আলী জানান, বেতন না পাওয়ায় সারা দেশের বেসরকারি কারিগরি শিক্ষক-কর্মচারী ক্ষুব্ধ। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ ধরণের বিরূপ মনোভাব শিক্ষক সমাজের জন্য কষ্ট দায়ক। এ ব্যাপারে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (ভোকেশনাল) ড. খান রেজাউল করিম জানান, উৎসব ভাতার চেক ২৬ অক্টোবর ইস্যু হওয়ার পর ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। বেতনের জন্য আগষ্ট মাসের ১০ তারিখে অর্থ মঞ্জুরীর জন্য পাঠানো হলেও অর্থ মন্ত্রণালয় ১ নভেম্বর তা ছাড় করে। গত ২ নভেম্বর কারিগরি অধিদপ্তর ব্যাংকগুলোর কাছে চেক হস্তান্তর করেছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আশীষ কুমার সরকার/লালপুর