রাজু দে (স্টাফ রিপোর্টার) নাটোর ::
নাটোরের বড়াইগ্রামে ধর্ষণের চেষ্টা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা এবং আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ভূক্তভোগীকে আপোষের নামে থানায় যেতে বাধা দেয়ায় মঙ্গলবার ভোরে ইউপি সদস্যসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন-উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ড সদস্য কুমরুল গ্রামের শুকুর আলী ওরফে হুদার ছেলে ইনতাজ আলী (৪০) এবং গ্রাম্য প্রধান একই গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ফিরোজ মন্ডল (৪৪)।

মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে কুমরুল গ্রামের শাহাবউদ্দিনের ছেলে শাকিল আহমেদ বিয়ের প্রলোভনে কৌশলে অনার্স পড়–য়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতেও একই কায়দায় বিয়ের প্রলোভনে একাধিকার ওই শিক্ষার্থীকে সে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অন্ত:স্বত্তা হয়ে পড়লে সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে। পরে তাকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়াসহ সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়।

এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও কয়েকজন গ্রাম্য প্রধান তাকে মামলা করতে বাধা দেয়াসহ আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী ধর্ষক শাকিল ও ইউপি সদস্যসহ ৫ জনের নামে থানায় ধর্ষণ ও সহায়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপি সদস্যসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here