শেরপুরের নালিতাবাড়ির নাঁকুগাও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২ মাস যাবত কয়লা ও পাথরসহ নানা জিনিস আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা হতাশ । এ বছর নতুন করে ভারতীয় কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা কয়লা আমদানি করতে পারছেন না ।

নালিতাবাড়ি আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতি ও শুল্ক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থ বছর কয়লা আমদানি করা হয়েছে ৮৭ হাজার ৪ শ মেট্রিক টন, পাথর আমদানি করা হয়েছে ২ হাজার ২শ মেট্রিক টন। কয়লা ও পাথর আমদানি থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। আর ভ্রমন কর আদায় করা হয়েছে ২২ লাখ ৬ হাজার টাকা। এ বন্দর থেকে রফতানি করা হয়েছে সিমেন্ট ৭ হাজার ৪শ মেট্রিক টন , তাতের শাড়ি ৩৫ হাজার ৮শ ১১ পিচ, মশারির নেট ৭ হাজার ২শ মেট্রিক টন, প্রাণ ফ্রুট্‌স ১২ হাজার ৭শ ৬৫ কেজি, ইট রফতানি করা হয়েছে ৮৩ হাজার পিচ। এসব থেকে রফতানি করা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ২শ ৫৮ ইউএস ডলারের সমপরিমাণ টাকা।

এদিকে নতুন করে ২০১১ সালের অর্থ বছরে ব্যবসায়ীরা কয়লা আমদানি করতে পারছেন না। কারণ হিসেবে জানা গেছে, গত বছর (লেটার অব ক্রেডিট) এলসি বিল তথ্য ছিল ৫০ ডলার, বর্তমানে ভারতীয় কয়লা ব্যবসায়ীরা তা বাড়িয়ে ৮০-৯০ ডলার বৃদ্ধি করেছে। এলসি প্রতি দাম বেড়েছে ৩০-৪০ ডলার।  নালিতাবাড়িসহ বিভিন্ন জায়গা হতে ২০১০ সালের নভেম্বর মাসের শুরুতে অনেক ব্যবসায়ীরা কয়লা আমদানির জন্য এলসি করেন। কিন্তু নতুন করে কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়া ও দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে নতুন করে প্রশ্ন উঠায় ব্যবসায়ীরা কয়লা আমদানি করতে পারছে না। কাজের এ মৌসুমে ভারতীয় কয়লা আমদানি না হওয়ায় এদেশের কয়েক হাজার শ্রমিক কাজের সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। লোড-আনলোডের কাজ না থাকায় শ্রমিকরা অলস সময় পার করছে। অপর দিকে প্রচুর রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। জানা গেছে, ভারতীয় সরকারের সাথে চুক্তি মোতাবেক সিলেট তামাবিল, নেত্রকোনার বিজয় নগর, বটছড়া শুল্ক স্টেশন দিয়ে পুরোনো দামেই কয়লা আমদানি হচ্ছে। তবে ওই পথ দিয়ে নতুন বছর জানুয়ারি-২০১২ হতে নতুন দামে কয়লা আমদানি হবে। নালিতাবাড়ি উপজেলা আমদনী-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমএ হাকাম হীরা জানান, ভারতীয় ডালু কয়লা রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাথে সমঝোতা মূলক আলোচনা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু হতে পারে।

সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই এ স্থল বন্দরের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১০ একর জমি বন্দোবসত নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। বন্দরটির সংযোগ সড়ক নাকুগাঁও থেকে নকলা পর্যনত সংস্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ সড়কটির উন্নয়ন করা হলে নাকুগাঁও স্থলবন্দরটি ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়ের সাথে সংযুক্ত হবে।

শাহরিয়ার মিল্টন/শেরপুর

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here