নাইজেরিয়ায় সিরিজ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫০ জনে।শুক্রবারের ওই হামলার পর দেশটির কানো শহরে হাসপাতালগুলোতে আহত এবং নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় তা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।এদিকে দেশটির তথ্যমন্ত্রী জনগণকে জঙ্গীগোষ্ঠীগুলোর অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

নাইজেরিয়ার কানো শহর থেকে বিবিসির একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, সেখানকার প্রধান হাসপাতালের মর্গে প্রায় দেড়শটি মরদেহ রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।আহত লোকদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য রেডক্রস সদস্য ও বাড়তি চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদিকে হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বিলো ওমার দিক্কো বলছেন, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।তিনি বলেন, আমরা মনে করছি নিহতের সংখ্যা বাড়বে। কারণ একাধিক হামলা হয়েছে এবং অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

শুক্রবার কানো শহরের পুলিশ স্টেশন, পাসপোর্ট অফিস, এবং ইমিগ্রেশন সেন্টারকে লক্ষ্য করে একের পর এক বোমা হামলা করা হয়। দেশটির ইসলামি জঙ্গী সংগঠন বোকো হারাম এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

হামলার পরপরই নাইজেরিয়ার কর্তৃপক্ষ সেখানে ২৪ ঘণ্টার জন্য কারফিউ জারি করেছে। দেশটির তথ্যমন্ত্রী লাবারান মাকু দেশটির জনগণকে জঙ্গীগোষ্ঠীগুলোর অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

মাকু বলেছেন, “দেশটির সরকার তার জনগণকে আশ্বস্ত করতে চায় যে কোনো গোষ্ঠী শুধু কোনো ধর্মের ভিত্তিতে এ ধরনের হামলা করতে পারে না। আমি জনগণকে আহবান জানাচ্ছি তারা যেন সব রকম তথ্য দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে সাহায্যআমি এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছি।”তিনি বলেন, “এ ধরনের হামলা প্রতিরোধ করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে শক্তিশালী করতে আরো কী পদক্ষেপ নেয়া যায় সে ব্যাপারে সরকার পর্যালোচনা করছে।

এদিকে শহরের বাসিন্দাদের অনেকেই দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন নাজুক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্যই এই জঙ্গীগোষ্ঠী এ ধরনের হামলার করার সুযোগ পাচ্ছে।বোকো হারাম নামে উগ্র সংগঠনটি ২০১০ সাল থেকে নাইজেরিয়ায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আসছে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তর্জাতিক ডেস্ক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here