বিজিবি প্রধানের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন: এনামুল হক কাশেমী, বান্দরবান প্রতিনিধি :: বাংলাদেশে-মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিরাজমান পরিস্থিতি রোববার সরেজমিন পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রধান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন। এ সময় বান্দরববানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক এবং প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা।

বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন জেলার নাইক্ষংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চল ঘুমধুম এলাকা পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, সরকার কোন ভাবেই মিযানমারের নাগরিক রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ করতে দেবে না। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আরো বিপুল সংখ্যক বিজিবি’র জোয়ানদের সীমান্ত এলাকাসমুহে মোতায়েন করা হবে। বিজিবি জোয়ানদের সর্বোচ্চ সতর্ক রাকা হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনও রয়েছে সেচ্ছার।

বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে.কলেণ আনোয়ারুল আজিম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তের এপারে বিজিবি সতর্কাবস্থায় রয়েছে। ওপার থেকে রোহিংগাদের অনপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ অবস্থান নিয়ে বিজিবি।

সীমান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি)’র ২৪টি আউট পোষ্টে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র হামলার ঘটনায় দেশটির নানাস্থানে সামরিক অভিযান চলছে। গত শুক্রবার থেকে থেমে রাখাইন রাজ্যে রাথিডং,বুচিডং ও মংডুসহ তিনটি শহরে ২৪টি বিজিপি’র আউট পোষ্টে সশস্ত্র হামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুরু করা সামরিক অভিযানের মুখে হাজার-হাজার নির্যাতিত রোহিঙ্গার শিশু-নারী-পুরুষ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ছয়টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ সদস্যরা কড়া নজরদারি করছে এবং ওইসব সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবি ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

তুমর্রু গ্রামের বাসিন্দা সামশুল আলম মোবাইলে জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির দুগৃম ঘুমধুম,তুমর্রু ও রেজু মঞ্জয় পাড়ায় আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে কয়েক শ’ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। অপরদিকে চাকঢালার সীমান্তের ওপারে ওয়ালিডং,খালিডং ও বিকুবুনিয়ার জঙ্গলে এবং সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

লেমুছড়ি এলাকার বাসিন্দা মোঃ কালু বলেন, সীমান্তের ওপারে অনুপ্রবেশের অপেক্ষমান বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গারা যে কোন সময় এক যোগে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলে বিজিবি সদস্যরা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারবে কিনা জানি না। আমরা, চরম আতঙ্কে আছি।

তুমরু সীমান্তের তুমরু মৌজার হেডম্যান কাইছা প্রু তঞ্চঙ্গ্যা জানান, রোহিঙ্গারা হাতে কিরিচ,রামদা,লাঠি নিয়ে এলাকায় গ্রামের আশে পাশে ঘুরা ফেরা করছে। তিনি বলেন,নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা না হলে স্থানীয় বাসিন্দারা মহাসংকটে পড়তে পারেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here