এনামুল হক কাশেমী, বান্দরবান প্রতিনিধি:: বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তাদের সেনা সদস্যের সংখ্যা বাড়িয়েছে। ভারীঅস্ত্র নিয়ে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে অবস্থান নিয়েছে বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্য। হালকা অস্ত্র- শস্রে বাংলাদেশের দিকে তাক করে রেখেছে মিয়ানমার সেনারা। সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে থাকা রোহিঙ্গাদের মাঝে আতংক ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। নোম্যান্স ল্যান্ডে বাংলাদেশ অংশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)এর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন এবং তারা টহলদান জোরদার করেছে।
সীমান্ত সুত্র এবং বিজিবি সদস্যারা জানিয়েছেন, নোম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান করা রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেছেন,বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েকটি ট্রাকে করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা তুমব্রু সীমান্তের ওপারে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছে।
সীমান্তের নানাস্থানে নির্মাণ করা বাংকারগুলোতেও অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমার সেনারা। মিয়ানমারের সেনা সদষ্যদের সাথে সীমান্ত রক্ষী পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরাও পাহারা দিচ্ছে। ওই এলাকার রোহিঙ্গা নাগরিক নূর মোহাম্মদ বলেন,বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা যুদ্ধাস্ত্র মর্টারসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছে সীমান্তের ওপারের বিভিন্ন পয়েণ্টে। তাদের সাথে রয়েছেন বিজিপি সদস্যরাও।
ফলে সীমান্তের জিরোলাইনে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা আতংকের মধ্যে রয়েছেন। তবে এখনও জিরা পয়েন্ট থেকে কোনো রোহিঙ্গা এপারে অনুপ্রবেশ করেনি।
এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম সরওয়ার কামাল জানান, তুমব্রু কোনার পাড়া সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সদস্যরা সকাল থেকে ভারী অস্ত্র নিয়ে টহল দিচ্ছেন বলে তিনি শুনেছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সীমান্ত এলাকাজুড়েই কঠোর অবস্থানে রয়েছেন এবং টহলদানও জোরদার করা হয়েছে।