কলকাতা :  বাংলাদেশে নির্বাচনকে মাথায় রেখে ত্রিপুরা, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় সহ ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে নিরাপত্তা কয়েকগুন বাড়িয়ে দিল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

নজরদারি কয়েকগুন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সীমান্তবর্তী থানাগুলিকেও সতর্কথাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থলপথের পাশাপাশি নদীপথ ও আকাশপতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। স্পীড বোট ব্যাবহার করে জলপথ পাহারা দিচ্ছে বিএসএফ।

শনিবার বিএসএফ-এর অতিরিক্ত ডিজি (পূর্বাঞ্চল) বংশীধর শর্মা জানান, নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সীমান্তে নিরাপত্তা আটোশাঁটো করা হয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে যাতে কোন অনুপ্রবেশ না ঘটে সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে। সীমান্ত জুড়েই জওয়ানের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত স্বাভাবিক আছে বলেও জানান মি.শর্মা।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘ফ্ল্যাশ আউট অপারেশন’-এ সেদেশ থেকে কোন সন্ত্রাসী যাতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে লক্ষ্য রাখা হয়েছে সেদিকেও। ভারতের আশঙ্কা বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে যেভাবে সেদেশের সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে এবং দুবৃত্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে তাতে একদিকে যেমন সীমান্তে অনুপ্রবেশ বাড়তে পারে তেমনই আঘাত হানতে পারে জামায়ত ইসলামের মতো সামপ্রদায়িক দলগুলিও।

নির্বাচনের দিন ঘোষনার পর থেকে গত দুই মাস ধরে সেদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সহিংসতায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ গেছে ১০০-এর মতো মানুষের। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে রেলের লাইন উপড়ে ফেলা, বাস ভাঙচুড়, অগ্নিসংযোগ, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসযজ্ঞ। ক্ষতির সম্মুখীন দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য।

রাত পোহালেই বাংলাদেশের ১০ তম সংসদ নির্বাচন। সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ টি আসনে বিজয়ী হয়েছে শাসক দল আওয়ামী লিগ। বাকি ১৪৭ টি আসনের জন্য রবিবার সকাল থেকে শুরু হচেছ ভোটগ্রহণ পর্ব। এদিন ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে শনিবার থেকেই ফের ৪৮ ঘন্টার হরতালের ডাক দিয়েছে বিরোধী দলীয় জোট। সকাল থেকেই দেশের ট্রেন, বাস, ভোটকেন্দ্রগুলিতে অগ্নি সংযোগ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here