ডেস্ক নিউজ :: বাংলাদেশ-ভূটান-ভারত-নেপালের মধ্যে নদীপথে বাণিজ্য বাড়ানো গেলে তা সামষ্টিক অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। তবে এই বাণিজ্য বৃদ্ধির যথেষ্ট সুফল যেন নদীর আশে-পাশে বসবাসকারি দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষরা বিশেষত চরের মানুষরা পান সেটা আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
গত ২৬ অক্টোবর ভারতের কোলকাতায় নদীপথ বিষয়ক উপ-আঞ্চলিক সংলাপ অধিবেশনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারপারসন ড. আতিউর রহমান একথা বলেন।
সংলাপ অধিবেশটি যৌথভাবে আয়োজন করে কাটস ইন্টারন্যাশনাল, উন্নয়ন সমন্বয়, রয়াল সোসাইটি ফর প্রোটেকশন অফ ন্যাচার, এবং সাউথ এশিয়া ওয়াচ অন ট্রেড, ইকোনমিকস এন্ড এনভায়রনমেন্ট।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট এন্ড ট্রেড এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্ত:দেশীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আশার সঞ্চার করেছে। তবে এক্ষেত্রে নদীপথের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল বিনিয়োগ, নদীপথগুলোর নাব্যতা বজায় রাখা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার মতো চ্যালেঞ্জগুলোও আমাদের মাথায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন ড. আতিউর।
এ সময় তিনি আরো বলেন, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতেরও এগিয়ে আসা দরকার। বাংলাদেশের রেল অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ভারতের পক্ষ থেকে যে ঋণ দেয়া হয়েছে, নদীপথের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংরক্ষণের জন্যও একই ধরনের ঋণ সুবিধা দেয়া যেতে পারে।
বিবিআইএন উপ-অঞ্চলে নদীপথগুলোর যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং নদীপথে আন্ত:দেশীয় বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর জন্য দেশগুলোর মধ্যে সংলাপ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন ড. আতিউর রহমান।
সংলাপ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- কোলকাতায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ব্রুস বাকনেল, কোলকাতায় জাপান কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মাসায়ুকি তাগা, ভারতে দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সাগর প্রাসাই, এবং ডিএফআইডি এশিয়া রিজিওনাল টিমের ক্লাইমেট এন্ড এনভায়রনমেন্ট এডভাইজর শান্তনু মিত্রা। কাটস ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহি পরিচালক বিপুল চ্যাটার্জি সংলাপ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি