সরকারের নতুন মন্ত্রীরা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন৷ তাঁদের হাতে সময় কম, তাই দেশের মানুষকে বড় কোন স্বপ্ন দেখাতে চান না৷ তবে এই অল্প সময়ের মধ্যে যা করার তা তাঁরা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷

 রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তাঁর রাজনৈতিক জীবনে আজই প্রথম মন্ত্রীর চেয়ারে বসলেন৷ সচিবালয়ে সহকর্মীদের শুভেচ্ছা গ্রহণের পর তিনি কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে৷ তিনি তাঁর স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে বলেন, এই অল্প সময়ে এক বিন্দু শিশির দেয়া ছাড়া আর তেমন কিছুই করতে পারবেন না৷ পরে যাঁরা আসবেন, তাঁরা সাগর পুর্ণ করবেন৷ সুরঞ্জিত বলেন, বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ নিয়ে অতীতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে৷ তাই এর কোন উন্নতি হয়নি৷ অথচ সারা দুনিয়ায় রেল যোগাযোগকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়৷ তিনি রেলকে ভোগান্তি এবং হয়রানিমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন৷

আর যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি মানুষের প্রত্যাশার চাপ অনুভব করছেন৷ কিন্তু সব প্রত্যাশা পুরণ করা আপাতত সম্ভব নয়৷ তাই তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবেন৷ আর এই অগ্রাধাকারের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করা৷ তিনি মেট্রোরেলসহ অন্যান্য বিষয়ে কোন সময়সীমা বেঁধে দিতে রাজি নন৷

বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের বলেন, তিনি সব সময়ই চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন৷ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চালানো অনেক বড় চ্যালেঞ্জের কাজ৷ কারণ এই মন্ত্রণালয়ের সাফল্য বা ব্যর্থতার প্রভাব সারা দেশের মানুষের ওপর পড়ে৷

তবে যোগাযোগ দফতর হারানো নতুন তথ্য যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এবং বাণিজ্য দপ্তর হারানো নতুন বিমানমন্ত্রী ফারুক খান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নি৷

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্টাফ রিপোর্টার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here