প্রধান বিরোধী দল দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের আগে কোন কিছুই তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেনা৷ জবাবে আইনমন্ত্রী বলেছেন, অতীতে কখনোই এতো স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়নি৷

 চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে৷ কারণ ১৪ই ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে৷ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের পর, নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়৷ সার্চ কমিটি ৭ই ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের প্রস্তাব পাঠাবে৷ কিন্তু বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, যেভাবেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক না কেন, বিএনপি তা মেনে নেবেনা৷ আর বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সরকার সাহস থাকলে সংসদের চলতি অধিবেশনেই তত্ত্বাবধায়কের বিল আনুক৷ বিএনপি তখন সংসদে গিয় তাতে সমর্থন দেবে৷

জবাবে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, অতীতে কখনোই এতো স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি৷ এবারই প্রথম রাষ্ট্রপতি সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন৷ বিরোধী দলের এটা মেনে নেয়া উচিত৷ তিনি বলেন, আর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মিলিয়ে ফেলা উচিত নয়৷ তাতে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷

নিয়ম অনুযায়ী, সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের প্রতিটি পদের বিপরীতে দু’জন করে ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করবে৷ রাষ্ট্রপতি তাদের মধ্য থেকেই নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন৷

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্টাফ রিপোর্টার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here