বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো রংপুরের সিংহ বাদশা (নভ) ও চট্টগ্রামের সিংহী নোভার বিয়ে বিয়ে। এ উপলক্ষে চিড়িয়াখানার ফটক, ওয়াকওয়ে ও পশুপাখির খাঁচা রং-বেরঙের বেলুন, ফেস্টুন ও জরি দিয়ে সাজানো হয়।

14বুধবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় মাংস-কেক কেটে এবং বেলুন উড়িয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।

বাদশা-নোভার এই বিয়ের সাক্ষি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ড. অনুপম সাহা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুর রশিদ, এডিসি শিক্ষা হাবিবুর রহমান, কবি অভীক ওসমান, সেলিনা শেলী, চিড়িয়াখানার সদস্য সচিব রুহুল আমীন, ডেপুটি কিউরেটর চৌধুরী মো. মনজুর মোরশেদসহ বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক ও স্কুলশিক্ষার্থী।

চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৬ জুন এখানে জন্ম নেয় সিংহী নোভা ও বর্ষা। জন্মের আগে মারা যায় বাবা ‘রাজ’। জন্মের পর হারায় মা ‘লক্ষ্মী’কে। দীর্ঘ একযুগ ধরে তারা ছিল মাতাপিতাহীন। শুধু তাই নয়, আর কোনো নতুন সিংহ চিড়িয়াখানায় আনা হয়নি। একই সঙ্গে চিড়িয়াখানায় আর কোনো পুরুষ সিংহ না থাকায় ‘বর্ষা’ ও ‘নোভা’ কুমারী থেকে যায়। এরপর জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে গত ১৮ জুলাই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম-রংপুরের মধ্যে সিংহ বদলের সিদ্ধান্ত হয়।

চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এটি তত্ত্বাবধান করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। বর্তমানে ৬৫ প্রজাতির ৩৬৫টি প্রাণী আছে। এর মধ্যে ৩২ প্রজাতির পাখি ও ৩৩ প্রজাতির প্রাণী। বর্তমানে আছে দুটি সিংহী, একটি ভালুক, ১৮টি বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, ছোট-বড় ৩৪টি কুমির, ১১টি অজগর, তিনটি চিতা বিড়াল, মেছো বিড়াল, কাছিম, বানর ও বাঘডাস। তাছাড়াও আছে ধনেশ, টিয়া, ময়না, বক, হাঁস, চিলসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি। ১৮টি হরিণের মধ্যে আছে একটি প্যারা, চারটি মায়া, চারটি সম্বর ও নয়টি চিত্রা হরিণ। বানর প্রজাতির মধ্যে আছে হনুমান, রেসাস ও ঊল্টা লেজি। তবে চিড়িয়াখানায় বর্তমানে কোনো বাঘ নেই। ২০০৬ সালে মারা যায় বাঘ ‘চন্দ্র’। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার শেষ বাঘ ‘পূর্ণিমা’ মারা যায় ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here