তন্ময় ভৌমিক, নওগাঁ

রোপা আমনের ফলন ভাল পেলেও দাম ভাল না পাওয়ায় নওগাঁর কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। ইরি-বোরো চাষের মাধ্যমে লোকসান কাটিয়ে ওঠার জন্য কনকনে শীত উপেক্ষা করে জমিতে ইরি-বোরো চাষের ব্যাপক প্রস’তি নিয়েছেন। উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার হিসাবে খ্যাত নওগাঁয় এবার ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬২৪ হেক্টর জমিতে ধান চাষের জন্য মাঠে নেমে পড়েছেন।

গভীর নলকূপগুলো এখনো পুরোপুরি চালু না হলেও অনেক মাঠে মাঠে শ্যালো ইঞ্জিন চালিয়ে পানি সেচের মাধ্যমে বোরো রোপণ শুরু করেছেন কৃষকরা।

বরেন্দ্র অঞ্চলের রাণীনগর, আত্রাই, নওগাঁ সদর, মহাদেবপুর, পোরশা, সাপাহার ও নিয়ামতপুর উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার বিস-ীর্ণ মাঠে চলছে বোরো চাষের ধুম। ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে কনেকনে শীত পড়লেও সে শীত উপেক্ষা করে কৃষকরা বোরোচাষ শুরু করেছেনে।

কৃষকরা জানান, মৌসুমের শুরুতেই বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং ও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে কৃষকরা কিছুটা ভাবনায় পড়েছেন। কয়েক দফা বৃদ্ধির পর প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য এখন দাড়িয়েছে ৬১.১০ টাকা। তবে গ্রামাঞ্চলে এ দামে ডিজেল মিলছে না। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে বেশি দামে ডিজেল বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পোরশা উপজেলার বিশইল গ্রামের কৃষক ভোলানাথ চন্দ্র বর্ম্মণ জানান, প্রতি লিটার ডিজেল ৬৩ টাকায় কিনতে হচ্ছে। শিরাজপুর গ্রামের কৃষক আলম আলী জানান, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে বোরোর উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ দিকে বিগত বছরগুলোতে জানুয়ারীর দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ পর্যন- এসব এলাকায় বোরো রোপন করা হতো। কিন’ এবার এসব এলাকায় ডিসম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই বোরো রোপণ শুরু হয়েছে।

নওগাঁ কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বরেন্দ্র অঞ্চলের রাণীনগর, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, পোরশা, নিয়ামতপুর, সাপাহার, মান্দা, ধামইরহাট, নওগাঁ সদর সহ জেলার ১১ উপজেলায় এবার ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬২৪ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here