নওগাঁর সদর উপজেলায় অবৈধ্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে গিয়ে শনিবার বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত আব্দুল্লার(১৯) লাশ পুলিশকে ম্যানেজ করে ময়না তদন্ত ছাড়াই তরিঘরি করে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। দুপুর ২ টার দিকে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। সে সদর উপজেলার সরল শিকারপুর গ্রামে মোবারক হক কাজীর ছেলে এবং জেলার পোরশা উপজেলার কান্তইল হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
এলাকাবাসি ও নওগাঁ সদর থানার ওসি আলী আহম্মেদ হাশমী জানান, প্রায় এক মাস আগে উপজেলার ওই গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে আলমগীর হোসেনের বাড়ী থেকে অর্ধকিলোমিটার দূরে বাঁশের খাঁটি ও গাছ যোগে মৃত কায়েব উদ্দিনরে ছেলে সিরাজুল ইসলাম তার বাড়ীতে অবৈধ্য সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করে আসছিলেন। এমতাবস্থায় শনিবার বেলা ১১ টার দিকে সিরাজুলের ভাতিজা তার বাড়ীতে আব্দুল্লা্হ মোবাইল ফোন চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুত স্পৃষ্ট গুরুত্বর আহত হয়। তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে দুপুর ২ টার দিকে মারা যায়।
আলমগীর হোসেনের স্ত্রী মাহফুজা বেগম জানান, পল্লী বিদ্যুতের লোকজন এই সংযোগ দিয়ে গেছে। গ্রামের অনেক লোকজন এই ভাবে বিদ্যুত ব্যবহার করে আসছে।
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুতের জিএম নুরুল ইসলাম জানান, আমাদের কোন লাইনম্যান কোন অবৈধ্য সংযোগ দেয়নি বা জড়িতও না। তারা নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমাদের উপর দোষারোপ করছে।
এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর থানার ওসি আলী আহম্মেদ জানান, ওই অবৈধ্য সংযোগ কিনা জানি না। তবে এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/তন্ময় ভৌমিক/নওগাঁ