নওগাঁয় প্রেমিকা তার প্রেমিককে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা তিনটি বাড়ি ভাংচুর করেছে। শ্বাসরোধ করে হত্যা করার ঘটনায় পুলিশ প্রেমিকা ও তার মা’কে গ্রেফতার করেছে। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রনে আনতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সদর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামে। হতভাগ্য ঐ প্রেমিকের নাম শিমুল আহম্মেদ ওরফে সাদ্দাম (২৫)। সে নওগাঁ সদর উপজেলার আদম দূর্গাপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে। নিহতের লাশ দুপুর বুধবার ১২ টার দিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসাপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন থেকে প্রেমিক সাদ্দাম ও প্রেমিকা দিপার সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। শিমুল আহম্মেদ ম্যাক্স নামক একটি ওষুধ কোম্পানীতে সমপ্রতি চাকরী পান। গত কয়েকদিন পূর্বে ওই ওষুধ কোম্পানীর প্রশিক্ষণ শেষ করে গত মঙ্গলবার বিকালে বাড়িতে আসেন। এরপর ঐদিন সন্ধ্যায় প্রেমের সূত্র ধরে প্রেমিকা দিপা তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে সে বাড়ি ফিরে না আসলে এবং তার মোবইল ফোন বন্ধ থাকার কারনে পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। এরপর অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে পাওয়া না গেলে চিন্তিত হয়ে পড়েন। বুধবার সকালে ওই গ্রামের একটি আলু ক্ষেতে এলাকাবাসী তার লাশ দেখতে পায়। এ সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে এলাকার হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভীড় জমাতে থাকে। এমতাবস্থায় প্রেমিকা দিপা ও তার মা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ও নিহত সাদ্দামের পরিবারের লোকজন প্রেমিকা দিপা এবং তার দুলাভাইয়ের বাড়িসহ ৩টি বাড়ি ভাংচুর করে। সংবাদ পেয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমারুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নওগাঁ সদর থানার ওসি (তদন্ত) এনামুল হক জানান, সংবাদ পেয়ে উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রনে আনতে সেখানে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দিপা ও তার মা শিউলি বেগমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আবু বকর সিদ্দিক বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/তন্ময় ভৌমিক/নওগাঁ