ধানের চেয়ে দ্বিগুণ দাম পেয়ে ভূট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছে চাষীরা

মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মাসুম, মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া এবং ভূট্টা চাষ করে দ্বিগুণ দাম পাওয়ার কারনে ধানের বিকল্প হিসেবে ভূট্টা চাষে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠছে চাষীরা। স্বল্প খরচে অধিক ফলন অপরদিকে ধানের চেয়ে দ্বিগুণ দাম পাওয়ায় চাষীরা এখন বেজায় খুশি।

সরজমিনে খোজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কিসমতজামুয়া গ্রামের চাষী শাহ আলম খান ৯৯ শতক জমিতে ভূট্টার আবাদ করেন। জমিতে নিজ শ্রম দিয়ে তার খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বছরে ভূট্টা চাষের জন্য মোরেলগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিনামূল্যে সার ও বীজ সহায়তা পেয়েছেন। অগ্রাহায়ন মাসে আবাদ করে বৈশাখ মাসের শেষ দিকে ফসলের কর্তন ও বিক্রি শুরু করেন।

এ বছরে তার জমিতে ভূট্টার মোচার উৎপাদন পেয়েছেন সাড়ে ১৩ হাজার পিচ। তিনি এক একটি ভূট্টার মোচা পাইকারী ৫ টাকা ও খুচরা ১০ টাকা করে বিক্রি করেন। সে ক্ষেত্রে ৯ শ’ টাকা মন দরে তার ক্ষেতের উৎপাদিত ভূট্টার পাইকারী মূল্যই হবে ৬৭ হাজার ৫ শ’ টাকা। একই জমিতে ধান চাষ করলে তিনি পেতেন ৪০ মন ধান যার বর্তমান বাজার দর সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা।

চাষী আব্দুল বারেক শেখ জানান, তিনি ৬৬ শতক জমিতে ভূট্রা চাষ করেছেন। পাবেন ২৫-২৬ মন। সেখানে ধান চাষ করলে পেতেন ১৫-১৬ মন। চাষী হারুন অর রশিদ ৩৩ শতক জমিতে ভূট্টা চাষ করে ৫ হাজার ৭ শ’ মোচা উৎপাদন করেছেন। যার খুচরা মূল্য হবে ২৮ হাজার ৫শ’ টাকা। চাষী শাহ আলম খান জানান, ধানের চেয়ে ভূট্টা চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়। দামও ধানের চেয়ে দ্বিগুণ। তাই ধানের পরিবর্তে ভূট্রা চাষ করেছেন। ভূট্টা চাষে উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মেজবাহ আহম্মেদ ও বলইবুনিয়া ব্লকের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ সহকারী কৃষি অফিসার মিজানুর রহমানের পরামর্শ ও সার্বক্ষনিক সহযোগীতা পেয়েছেন চাষীরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসা সিফাত আল মারুফ জানান, তাপমাত্রা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সে ক্ষেত্রে ধানের চেয়ে ভূট্রা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া ধানের চেয়ে ভূট্রার দামও দ্বিগুন। তাই চাষীরা ভূট্রা চাষেই বেশি আগ্রহী হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here