নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ধাওয়ানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আকমল, ‘প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শিখর ধাওয়ানের অধিনায়কত্ব ছিল মুগ্ধ করার মতো। ও যেভাবে বোলিং প্রান্তে পরিবর্তন আনছিল, যেভাবে ফিল্ডিং সাজাচ্ছিল, এককথায় দুর্দান্ত।’

ধাওয়ানকে ধোনির মতোই ঠান্ডা মাথার মনে হয়েছে আকমলের কাছে, ‘ধাওয়ানকে অনেক ঠান্ডা মাথার অধিনায়ক মনে হয়েছে। সত্যি বলতে কী, ধাওয়ানের অধিনায়কত্ব দেখে ধোনির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে আমার। চাপের মধ্যেও সে দুর্দান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি শ্রীলঙ্কা যখন দুর্দান্তভাবে শুরু করল, ও তখনো ভয় পেয়ে যায়নি। প্রথম দুই ওভারে বিনা উইকেটে ২০ রান তুলে ফেলেছিল লঙ্কানরা। সেখান থেকে ৩৮ রানের জয় যেমন-তেমন কথা নয়। ধাওয়ানকে অবশ্যই এর কৃতিত্ব দিতে হবে। বোলারদের কৃতিত্বের কথাও অস্বীকার করা যাবে না।’

শুধু তা–ই নয়, ১৬৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কা ১৩ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৯০ রান তুলে ফেলেছিল। তখনো লঙ্কানদের জয় অস্বাভাবিক মনে হচ্ছিল না। তবে আসল ধস শুরু হয় চারিথ আসালঙ্কার বিদায়ে। অন্য ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মধ্যে একাই লড়ছিলেন আসালঙ্কা। কিন্তু তাঁর ২৬ বলে ৪৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসটা শেষ হয় দীপক চাহারের বলে, পৃথ্বী শর হাতে ক্যাচ দিয়ে।

এরপর ১৫ রানের মধ্যে বাকি সব ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যান। হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে শ্রীলঙ্কা, ভারতের মুখে জয়ের হাসি। শেষের ওই সময়ে ধাওয়ানের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং পরিবর্তনই ভারতকে জয় এনে দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। সেই তালিকায় নাম লেখালেন আকমলও।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here