হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশঢাকা :: সম্প্রতি গুলশানে অবস্থিত রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়-য়া দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত ধর্ষকদের কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী আজ শনিবার (২০ মে) এক যুক্তবিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, রেইন ট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত ধর্ষকদের কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক এবং ভিকটিম দুই তরুণী যাতে ন্যায়বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে আমরা রাষ্ট্রের কাছে জোর দাবি জানাই। নির্যাতিতা ও মজলুম দুই তরুণীর প্রতি আমরা পূর্ণ সমবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশ করছি। মিডিয়া ও সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ তাদেরকে ‘ধর্ষিতা’ বলে অভিহিত করবেন না, এটি নির্যাতিতা নারীর জন্য অবমাননাকর বলে আমরা মনে করি।

পরিবর্তে আপনারা নির্যাতনের শিকার একজন নারীকে ‘ভিকটিম’ বা ‘নির্যাতিতা’ বলুন। ধর্ষণ সাপেক্ষে একজন ধর্ষক- সে অপরাধী ও শাস্তিপ্রাপ্য, কিন্তু একই শব্দ দিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার কোনো নারীকে ‘ধর্ষিতা’ বলে অভিহিত করা অবিচারের শামিল। কারণ ‘ধর্ষক’ এবং ‘ধর্ষিতা’- শব্দ দুটোই আমাদের সমাজে নেতিবাচক; তাই আমরা নির্যাতিতা নারীদের সম্মান ও ভবিষ্যত রক্ষার্থে ‘ধর্ষিতা’ শব্দের ব্যবহারের বিরোধী।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, গুলশানের মতো অভিজাত পাড়ায় এহেন জঘন্য ধর্ষণের ঘটনা আমাদের সমাজের মধ্যে গভীর পচন ও অবক্ষয় প্রতীয়মান করে। বিচারহীনতার সুযোগে শুধু অভিজাতপাড়ায় নয়, সারা দেশেই ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতা ইত্যাদি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। দেশে ন্যায়ের শাসনের অভাব ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি ছাড়াও কোরআন-সুন্নাহ থেকে মানুষের দূরে সরে যাওয়াও এর মূল কারণ। পর্দা অথবা হিজাব পরিধান করে চলাফেরা করুন- যা আপনাদেরকে তুলনামূলকভাবে আরো নিরাপদ করবে। আল্লাহকে ভয় করে এই ফরজ বিধান মেনে চলুন। পর্দানশিন দ্বীনদার নারীর ভূমিকা একটি রাষ্ট্র ও সমাজে অভাবনীয় সমৃদ্ধি, শান্তি ও কল্যাণ বয়ে আনে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

তারা বলেন, ধর্ষণ, ব্যভিচার ও সমকামিতা, এগুলো জঘন্যতম অপরাধ। এগুলো বৃদ্ধি পাওয়ার অর্থ হলো, দেশে কোরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনের চর্চা কম হচ্ছে। তাই মানুষ দ্রুত গুমরাহ হয়ে যাচ্ছে। কোন্দল ও অবাধ পাপাচারে জড়িয়ে পড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে আল্লাহর নানামুখী আজাব-গজবে আমরা পতিত হবো। সুতরাং যাবতীয় পাপাচার ও জুলুম দূরীভূত করতে আমাদের জাতীয় জীবনে ঈমান-আক্বিদার সংরক্ষণ ও কোরআন-সুন্নাহ অনুসরণের বিকল্প নেই।– প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here