দেহব্যবসাইউনাইটেড নিউজ ডেস্ক :: গণিকাবৃত্তিকে আইনি বৈধতা দেবার দাবিতে জোর বিতর্ক দেখা দিয়েছে ভারতে৷ সুপ্রিম কোর্টের এক কমিটি দেহব্যবসাকে আইনি স্বীকৃতি দেবার সুপারিশ করতে চলেছেন৷ এ নিয়ে চলছে জোরালো তর্ক-বিতর্ক৷

সুপ্রিম কোর্টের কমিটির মতে, সুপারিশ কার্যকর হলে যৌনকর্মীদের পেশায় শ্রমআইন প্রযোজ্য হবে, তাঁদের পুনর্বাসনে সুবিধা হবে এবং পুলিশের হয়রানি এবং তোলাবাজি বন্ধে সহায়ক হবে৷ সে জন্য ১৯৫৬ সালের ইমমরাল ট্রাফিক প্রিভেনশন আইন সংশোধন করা দরকার৷

নারীবাদী এনজিও, আইনজীবী এবং যেৌনকর্মী সংগঠনগুলি মনে করে, এই আদিম পেশাকে আইনি বৈধতা দেয়া উচিত৷ কারণ তাদের মতে, এতে ধর্ষণ বা যৌন অপরাধ কমবে, যৌনকর্মীদের স্বাস্থ্যরক্ষার সুবিধা হবে৷

কারণ তাঁদের ওপর তখন স্বাস্থ্যবিধি প্রযোজ্য হবে, ফলে যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা যাবে, সেক্স-ট্রেড লাইসেন্সের জন্য নিয়মবিধি বলবত করা যাবে ও ধার্য করের টাকা পুরসভা বা স্থানীয় প্রশাসনকে খরচ করতে হবে যৌনকর্মীদের কাজের পরিবেশ উন্নত করতে৷

ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন একটা উদাহরণ তুলে বলেছেন মুম্বই মহানগরিতে রেড লাইট বা যৌনপল্লি বেশি থাকায় রুজি রোজগারের তাগিদে ঘর পরিবার ছেড়ে ঐ শহরে লক্ষ লক্ষ বহিরাগতদের থাকতে হয়, তাঁদের দৈহিক খিদে মেটানোর সুযোগ থাকায় মুম্বই শহরে ধর্ষণের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম৷

দেখা গেছে, ১৯৫৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় পতিতাবৃত্তি  বেআইনি ঘোষিত হবার পর ধর্ষণের সংখ্যা বেড়েছিল দেড়শো শতাংশের মত৷ জার্মানিসহ অনেক দেশে গণিকাবৃত্তিকে আইনসিদ্ধ করা হয়েছে৷

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here