নিজস্ব প্রতিবেদক:: দেশে বর্তমানে প্রায় চল্লিশ হাজার ডিপ্লোমাধারী প্রায় পাঁচ হাজার বিএসসি ডিগ্রীধারী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বেকার রয়েছেন। এই বিপুল শিক্ষিত বিশেষায়িত ডিগ্রীধারী তরুণ মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা পরিবার ও রাষ্ট্রের কাছে বোঝা। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদন্ড অনুপাতে একজন চিকিৎসক, তিনজন নার্সের বিপরীতে পাঁচজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকার কথা বলা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে টেকনোলজিস্টের মোট পদ সংখ্যা সাত হাজার ৬০০টি। কর্মরত রয়েছেন মাত্র পাঁচ হাজার ২০০ জন।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিএমএ ভবনে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের আয়োজনে ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এবং রোগ নির্ণয়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্টের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক’ আলোচনায় আলোচকেরা এ তথ্য তুলে ধরেন। আলোচকেরা এ সময় করোনার সংকটকালে টেকনোলজিস্টদের বেকারত্ব দূরীকরণের দাবি জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, টেকনোলজিস্টরা সামাজিক অবস্থান, প্রমোশন অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন। সমাজের যারা নীতি নির্ধারক তারা উপলদ্ধি করেন কিনা, আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
দেশে অনেক টেকনোলজিস্ট বেকার পড়ে আছেন। মেডিকেল ব্যবস্থাপনা হচ্ছে এক ধরনের টিম ওয়ার্ক। আমি ডাক্তা্র হিসেবে রোগী দেখতে পারি, টেকনোলজিস্টের কাজ তো আমি পারবো না।’ তিনি টেকনোলজিস্টদের উদ্দেশ্য করে বলেন, চিকিৎসার বেসিক কাজ কিন্তু আপনারই করেন। আলোচনায় আরো অংশ নেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএম) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু ইউছুফ ফকির, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা, শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. গোলাম সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমান।