জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ বলেছেন, বিগত সংসদ নির্বাচনে বৃহত্তর রংপুরের অনেক আসন কারচুপি করে তারা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তা পুনরুদ্ধার করবো। মহাজোটে থাকা না থাকা সময়মতো সিদ্ধান্ত নিবো। আমাদের সমর্থনে মহাজোটের সরকার গঠন করা হলেও আওয়ামীলীগ তাদের একক ভাবে দেশে দলীয়করন আর লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাই দেশের মানুষ এ সরকারকে আর দেখতে চায়না। এই সরকারের অপশাসনের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে হত্যাসহ দেশে সন্ত্রাসি, চাঁদাবাজি, অনিয়ম-দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, লুটপাট, জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য, শেয়ার কেলেংকারির ঘটনায় ছেয়ে গেছে গোটা দেশ। ব্যাংকে টাকা নেই, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হওয়ার পথে। জনগণ সরকারের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। গতকাল বুধবার তিস্তা ব্যারেজ অভিমূখে লংমার্চ শুরুর আগে রংপুর জিলা স্কুলের সামনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ বলেন, কোথাও শান্তি নেই, সুখ নেই। দেশের মানুষ শান্তি চায়, পরিবর্তন চায়। আমি ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। তিনি বলেন, আমাকে জেলে নেয়ার আগে আমার জনপ্রিয়তা ছিল ১২ ভাগ এখন তা ৩০ ভাগে উন্নীত হয়েছে। অন্য কোন দলের নেতা আমার মতো জনপ্রিয় নয়। এরশাদ বলেন, তিস্তার চুক্তি আদায় করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এ কারণে আমাকে ক্ষমতায় যেতে হবে। আমি ক্ষমতায় গেলে ২ মাসের মধ্যে পানি চুক্তি করবো। তিনি আরও বলেন, উত্তরাঞ্চলকে মরুভূমির হাত থেকে রক্ষা করতে আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে হবে- কৃষককে বাঁচাতে হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর-৩ (সদর) আসনের এমপি রওশন এরশাদ, ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর আহমদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, জাতীয় পার্টির (এ) প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা, ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর, জাতীয় পার্টির (এ) নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন কাদেরী, এসএম ইয়াসির, জাহিদুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান নাজিম, আমিনুল ইসলাম, জাহিদ হাসান লুসিড প্রমুখ।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/জহুরুল ইসলাম জহির/রংপুর