কাঞ্চন কুমার
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশ এবং জনগনের জন্য কোন কাজ করে নাই। ভোটের আগে তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তারা তা রক্ষা করে নাই। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি হয়েছে। ১০ টাকা কেজি চাল এদেশের মানুষের কাছে স্বপ্নই রয়ে গেছে। ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে,ডালের দাম বেড়েছে। দেশের মানুষ নিয়ে সরকারের কোন মাথা ব্যাথা নেই। দেশের রাস্তার অবস্থা বেহাল। ফলে দূঘর্টনায় মানুষ প্রাণ দিচ্ছে প্রতিদিন। মন্ত্রীরা চুরি করে নিজের পেট ভরছেন। সীমান্তে মানুষ হত্যা করছে বিএসএফ। সরকারের নতজানু নীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না। এ সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। জনগনের ভোটে নয় মঈন ফখরুদ্দিন ষড়যন্ত্র করে এ সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। এদেশের জনগন গণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাবে।

বেগম খালেদা জিয়া আরো বলেন, তত্ববধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করে এ সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার অপচেষ্টা করছে। এদেশের জনগন তত্ববধায়ক সরকার ব্যতীত কোন নির্বাচন মেনে নেবে না। এসরকার সংবিধান থেকে আল্লাহ কে সরিয়ে দিয়েছে। এ সরকার ভারতের তাবিদার। এ চুক্তি সে চুক্তির কথা বলে হাসিনা সরকার দেশের সার্বভৌমতত্বকে হুমকি মুখে ঢেলে দিচ্ছে। এ সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যায় না। বেগম খালেদা জিয়া জনসভা থেকে সরকার পতন আন্দোলনের ডাক দেন।

তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য কমানো, এবং সরকারের পদত্যাগের দাবীতে দেশব্যাপী বিএনপি’র রোড মার্চ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও চারদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন।

বৃহত্তর কুষ্টিয়ার তিন জেলা কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী কুষ্টিয়ার জনসভায় যোগদেন। শহরে সর্বত্রই সাজ সাজ রব পড়ে গেছে । নেত্রীকে স্বাগত জানিয়ে রং-বেরংয়ের ব্যানার, তোরণ, পোষ্টার ও প্লাকার্ড দিয়ে শহরকে নতুন করে সাজানো হয়। জনসভায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব আমানুল্লাহ আমান, সহ সভাপতি সাবেক মন্ত্রী ইয়ার ভাইস মার্শাল আলতাব হোসেন চেীধুরী, আব্দুল্লাহ আল নোমান, বাংলাদেশ কল্যান পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল ইব্রাহিম হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহ, এমকে আনোয়ার, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, জামায়াত ইসালামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল হোসেন, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহমেদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, বিজিপি’র সভাপতি ব্যারিষ্টার আন্দালীব রহমান পার্থ, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কেন্দ্রীয় যুব দলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ। দলীয় সাবেক এমপি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি, রেজা আহমেদ বাচ্চু ও অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন প্রমুখ। জনসভায় সভাপতিত্ব্ব  করেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। এদিকে জনসভা এক সময়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। রোড মার্চ কর্মসূচীতে দলীয় নেত্রীর সাথে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার গাড়ী বহর আসে। রাস্তার দুরঅবস্থার কারণে বেগম খালেদা জিয়া নির্দিষ্ট সময় থেকে ২ ঘন্টা পরে জনসভায় পৌছেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here