বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেছেন, বিএনপির সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে সরকারের ইন্ধনে বাধা দিয়ে গুলি করে দেশের বিভিন্নস্থানে সাধারণ মানুষ হত্যার সমস্ত দায়-দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীকে বহন করতে হবে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বর্তমান সরকার তিন বছর ধরে সাংবিধানিক ও সংকট সৃষ্টি করেছে তাতে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। দেশের সাংবিধানিক সংকট দূর করতে বিএনপি সারাদেশে বিভিন্ন সময় রোডমার্চসহ শান্তিপূর্ণ কর্মসুচি পালন করে আসছে। কিন্তু বর্তমান সরকার এসব কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করছে। এতে প্রমাণিত হয়, ভারতের লেজুড়ে সরকার দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সকল প্রক্রিয়া ধ্বংস করে একদলীয় শাসন কায়েমের মাধ্যমে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়। কিন্তু সরকারের এই হীন প্রচেষ্টা দেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না।
তিনি রোববার দুপুরে চট্টগ্রামে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্যালয়ে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
বিএনপির পূর্বঘোষিত ২৯ জানুয়ারীর গণমিছিলে সরকারের নিষেধাজ্ঞা, ১৪৪ ধারা জারি, লক্ষীপুরসহ বিভিন্নস্থানে মিছিলের উপর পুলিশের গুলিবর্ষণ, মানুষ হত্যার প্রতিবাদে এই সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও নগর বিএনপি সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, উত্তর জেলার সভাপতি গিয়াস কাদের চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, আসলাম চৌধুরী, ডা. শাহাদাত হোসেন, আবু সুফিয়ানসহ নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন স্থরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এমকে আনোয়ার বলেন, সরকারের শীর্ষ ব্যক্তি থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা দেশের মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের স্বার্থ সংরক্ষণে বেশ তৎপর। সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা, ভারতকে একতরফা ট্রানজিট প্রদান, বাংলাদেশমুখী প্রবাহমান নদীতে বাঁধ দেয়াসহ ভারতের প্রতি নতজানুতাকে দেশের মানুষ রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে বিবেচনা করছে। আগামীতে দেশপ্রেমিক জনগণের সরকার এলে এসব মন্ত্রীদের রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাটগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিচার করা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে পরিচালিত রোডমার্চে জনগণের সম্পৃক্ততায় সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। রোডমার্চে অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে দেশের মানুষ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকার বুঝতে পেরেছে তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। ভারত তোষণ করে বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। তাই বিরোধী দলের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে দেশব্যাপী এক বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিএনপির নেতৃত্বে দেশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সরকারের যে কোন ধরণের বাধা উপেক্ষা করে বিএনপি ও বিরোধীদল দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় আজকের (সোমবার) গণমিছিল যে কোন মূল্যে সফল করবে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্টাফ রিপোর্টার