pmস্টাফ রিপোর্টার :: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের রায় তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি করলে শাস্তি ‘পেতেই হবে’।

খুলনায় এক দিনের সফরে এক জনসভায় যোগ দিয়ে তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোটও চেয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “খালেদা জিয়া করাপশন করেছে। কোর্ট রায় দিয়েছে। সেই রায়ে সে কারাগারে। এখানে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই। করাপশন করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে।”

শনিবার সকালে খুলনায় পৌঁছে প্রথমে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ৫৮তম কনভেনশন উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।

দুপুরের পর সার্কিট হাউজে বসে ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৫১টির ভিত্তি স্থাপন করে সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভাকে কেন্দ্র করে খুলনায় ছিল সাজ সাজ রব। সকাল থেকেই বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরাসহ খুলনার আশেপাশের জেলাগুলো থেকে নেতা-কর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও নৌকা প্রতীক নিয়ে সার্কিট হাউজ মাঠে আসতে শুরু করে। দুপুরে পর থেকে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসতে থাকে আওয়ামী লীগের মিছিল।

সার্কিট হাউজ মাঠে জায়গা না পেরে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক আশেপাশের রাস্তায় অবস্থান নেন। শেখ হাসিনা যখন সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান, তখন ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে সরগরম হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

প্রধানমন্ত্রী তার ২৩ মিনিটের বক্তব্যের অধিকাংশ সময়েই ২০০৯ সাল থেকে গত নয় বছরে তার সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।

শিক্ষায় উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “এখন বাবা-মাকে আর বই কিনতে হয় না। বই কেনার দায়িত্ব আমি নিয়েছি।”

চলতি বছরের প্রথম দিনই চার কোটি ৪২ লাখ চার হাজার ১৯৭ জন শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি বই তুলে দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র থেকে আমরা বিনামূল্যে ওষুধ দিচ্ছি।”
টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “এখন সকলের হাতে মোবাইল ফোন।”

“আছে না মোবাইল ফোন? আছে?”- প্রধানমন্ত্রীর এই কথায় জনসভায় উপস্থিত সবাই তাদের মোবাইল ফোনসহ হাত তুলে ধরেন।

ভোলা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস খুলনায় আনার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।

“আমাদের লক্ষ্যই উন্নয়ন। আমরা উন্নয়নে বিশ্বাস করি। অন্যদিকে, বিএনপির কাজ ছিল সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা, মানুষ হত্যা করা, খুন করা।”

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সবাইকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা দেশের শান্তি চাই, দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণ চাই।”
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, “আজকে আমি আপনাদের সামনে ১০০টি প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। এর মধ্যে ৪৮টি উদ্বোধন করেছি।”

খুলনার উন্নয়নের ধারাবাহিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কল-কারখানা, বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ, রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছি। এখন রেললাইন একেবারে মংলা বন্দর পর্যন্ত যেনো যায়; সেই প্রকল্পের কাজও শুরু করেছি।

“বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো, তখন মংলা বন্দর তারা বন্ধ করে দিয়েছিলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মংলা বন্দর চালু করে দিয়েছে।””

প্রত্যেক পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশে একটা মানুষও গৃহহারা থাকবে না। প্রত্যেক মানুষকে ঘর দেওয়ার একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছি।”

তিনি বলেন, “আমরা যা ওয়াদা করেছিলাম তার বাইরেও যে সব কাজ করলে জনগণের কল্যাণ হয়; সেগুলোও আমরা করেছি।”

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here