ইউপি চেয়ারম্যানকে স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন না জানানোয় তাদের ক্যাডারদের হামলায় আহত হয়েছে স্কুলের শিক্ষক মোশারেফ হোসেন। ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা শুক্রবার মানব বন্ধন পালনকালে আবারো চেয়ারম্যানের ক্যাডাররা হামলা চালায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর।
এতে কমপক্ষে ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের জয়গুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।বিদ্যালয়ের শিক্ষক,ম্যানেজিং কমিটি,শিক্ষর্থী ও পুলিশ সুত্র জানায় জয়গুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংসকৃতিক অনুষ্ঠান ছিলো ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি। অনুষ্ঠানে জেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রন জানানো হয়। দাওয়াত পত্রে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের নাম না থাকায় ২৫ জানুয়ারী সন্ধ্যায় প্রথম দিনের কার্যক্রম শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে চেয়ারম্যানের ক্যাডারা বের হয়ে শিক্ষক মোশারেফ হোসেনের উপর হামলা চালায়। দুমকী থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরের দিন মোশারেফ হোসেন বাদী হয়ে দুমকী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।এদিকে শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা মানব বন্ধন কর্মসূচী আয়োজন করে। কর্মসূচী চলাকালে একই ক্যাডাররা আবারো মানব বন্ধনের উপর হামলা করে মানব বন্ধন পন্ড করে দেয় । এতে ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়।এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নুরুন্নাহার লুচী সাংবাদিকদের বলেন,চেয়ারম্যান মিজান ইচ্ছাকৃতভাবে তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে শিক্ষক মোশারেফ হোসেন ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে আমার বিচার চাই। তিনি বলেন পুলিশ যদি মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতো তাহলে তারা মানববন্ধনে হামলা করারমতো দূঃসাহস দেখাতো না। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার না করলে শিক্ষর্থীদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচী গ্রহন করা হবে।এ বিষয়ে দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলী নেওয়াজ বলেন, চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে থানায় ডেকে এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
যারা শিক্ষককে মারধর করেছে তাদের গ্রেফতারে আইনী সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/মামুনুর রশিদ/বরিশাল