গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ::
দুটি কিডনি নষ্ট,মাঝে মধ্য লিভারও ফুলে যায়। তবুও বাঁচার আকুতি তার। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না স্ত্রীসহ তার পরিবার। এনামুল হক ঢাকার সিকেডি এন্ড ইউরোলজী হাসপাতালের ডা: তানভীর রহমানের কাছে চিকিৎসাধীন নিচ্ছেন।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়েছে। দুটি কিডনিই ট্রান্সফার করতে হবে। কিডনি ট্রান্সফার না করা গেলে দিন দিন তার আরও অবনতি হবে। তার পরিবার জানিয়েছে, এনামুল হকের চিকিৎসায় ইতোমধ্যে সব শেষ হয়েছে। এনামুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে চিকিৎসা চালিয়েছেন তারা। চিকিৎসা করাতে আরও অনেক টাকার প্রয়োজন। আর দুটি কিডনি ট্রান্সফার করতে গেলে খরচ হবে প্রায় ১৯ থেকে ২০ লাখ টাকা। তার পরিবারের পক্ষে এতো টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তশালি,ধনবান ও শুভাকাক্ষীদের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করেছেন তার পরিবার।
জানা যায়,দিনাজপুরের হিলি হাকিমপুর পৌরসভার দক্ষিণ বাসুদেব (চুরিপট্টি) এলাকায় স্ত্রী, ৩ ছেলে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করেন এনামুল হক। হিলি বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বস্তার দোকান ছিলো তার মূল পেশা। স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে সুখেই দিন যাচ্ছিল তার। কিন্তু মরণব্যাধি কিডনি রোগে থাবা দিয়েছে।
এনামুল হকের সম্পর্কে তার প্রতিবেশীরা জানান, সে একজন ভালো মানুষ। ২০১৯ সালে তার কিডনি রোগ ধরা পড়ে। সে অত্যন্ত বিনয়ী, ভালো মানুষ। হঠাৎ করে তার এমন রোগ ধরা পড়ল,যা সত্যিই দুঃখজনক।
প্রতিবেশীরা আরও বলেন, এনামুলের বাবা মা নেই। নিজেরও সামর্থ্য নেই চিকিৎসা করার। সমাজের বিত্তবানদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
এনামুলের স্ত্রী বলেন, ঘরে এমন কিছু নেই যে বিক্রি করে তার চিকিৎসা করবো। বাজারে একটি বস্তার দোকান ছিল সেটা বিক্রি তার চিকিৎসা করিয়েছি। প্রতি সপ্তাহে ডাইলোসিস করতে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এছাড়াও ওষুধ ক্রয় করতে হয়। নিজের ৩ ছেলে ৩ বেলা খাবারই দিতে পারছি না। ওষুধ কিনবো কোথায় থেকে! অনেক অভাবে আছি। তার মধ্য মেজো ছেলে প্রতিবন্ধী।
তার স্ত্রী আরও বলেন,এক সময়ে আমার স্বামীর বস্তার দোকানে ২০ থেকে ২২ জন দোকানা কর্মচারী থাকতো। দুই জন ম্যানেজার থাকতো। এখন শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার স্বামীর চিকিৎসার অনেক ব্যয়বহুল তাই সমাজে বিত্তশালি, ধনবান ও শুভাকাক্ষীদের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করছি।
এ ব্যাপারে বাংলাহিলি খাসমহল হাট ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক আরমান আলী প্রধান বলেন, একেবারেই নিঃস্ব হয়েছে ব্যক্তিটি তার যে রোগ তা তার পক্ষে চিকিৎসা ব্যয় নির্ভর করা সম্ভব নয়। আমি জানার পর বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করার আশ্বস্ত করেছেন। অনেক
ব্যয়বহুল চিকিৎসা তাই বিত্তশালীদেরও এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
সবার সম্মিলিত চেষ্টায় পারে এনামুল হকের নতুন জীবন উপহার দিতে অর্থ সহযোগিতা দেওয়ার নাম্বার বিকাশ ০১৩১৮৪৫৫৩৭৩/ নগদ ০১৭২৩০৫৭৬২২ ও যোগাযোগের অনুরোধ তার পরিবার।