মুহাম্মদ রহমত উল্যাহ, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ২লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে শাহীনুর আক্তার পপি নামে এক গৃহবধূকে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়েছে পাষণ্ড শ্বশুর আবু ছায়েদ।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের আমিরাবাদ কবিরাজ বাড়িতে। ঝলসে যাওয়া শাহীনুর আক্তার পপি বর্তমানে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস’্য কমপ্লেক্সে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা বেগম জানায়, পপির বিয়ের পর তার বাবা স্বামী কে ৭০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়। এতে তাদের চাহিদা আর ও বেড়ে যায়। বিভিন্ন সময় আরো ১ লাখ টাকার জন্য পপির উপর নির্যাতন করত শ্বশুর বাড়ীর লোকজন। বৃহস্পতিবার শ্বশুর পপিকে ১ লাখ টাকা আনতে পিতার নিকট পাঠায়। পপি দুপুর বেলা টাকা ছাড়া ফিরে আসে। ফিরে আসার সাথে সাথে শ্বশুর, শ্বাশুড়ী ও স্বামী কয়েক দফা পপিকে মারধর করে। পপি ঘরের পাশে রান্না ঘরে বসে কাদঁতে থাকে। পপি কিছু বুঝে উঠার আগেই পিছন দিক থেকে এসে চুলার উপর থাকা ভাত রান্না করার গরম পানি পুরো পাতিল পপির উপর ঢেলে দেয়। পপির চিৎকারে আশ পাশের লোকজন দ্রুত পপিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান আ ফ ম বাবু জানান,‘‘ পপির উপর যে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। তাদের দৃষ্টান- মূলক শাসি- হওয়া উচিত’’।

সুরহলী গ্রামের শহিদ উল্লাহর মেয়ে পপির সঙ্গে ২০১০ সালে আমিরাবাদ কবিরাজ বাড়ির আবু ছায়েদের ছেলে আবদুল হান্নানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ২লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্বামী হান্নান, শ্বশুর আবু ছায়েদ, শাশুড়ি নির্যাতন শুরু করে। শ্বশুর আবু ছায়েদ ফুটানো গরম পানি পপির গায়ে ঢেলে দেয়।

পপির পিতা শহীদ উল্যাহ বলেন‘‘ আমার মেয়ের সুখের কথা চিন-া করে প্রথম ৭০ হাজার টাকা ধার দেনা করে দিয়েছি। আরো এক লাখ টাকার জন্য মেয়েটাকে এত অত্যাচার করতো তা ভাষায় প্রকাশ করা যেত না। কয়েকবার আমার মেয়েটাকে রাতের আধারে মেরে ফেলতে চেয়েছে তারা। তিনি জানান, আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব’’।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন,‘‘ ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস’া নেব’’।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here