২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব কিডনি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে সারাবিশ্বে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

বিশ্ব কিডনি দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘স্থূলতা কিডনি রোগ বাড়ায়, সুষ্ঠু জীবনযাপনে সুস্থ কিডনি’।

বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, কিডনি রোগের ভয়াবহতা থেকে মুক্ত থাকতে হলে অবশ্যই স্থূলতা পরিহার করতে হবে। মেদকে না বলতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করলেই স্থূলতা দূর হবে। এজন্য আমাদের জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিস্নউএইচও) সংজ্ঞা অনুযায়ী বডি মাস ইনডেঙ্ (বিএমআই) যদি ২৫ থেকে ২৯.৯ হয় তবে তাকে অত্যধিক ওজন, আর ৩০ এর অধিক হলে তাহলে স্থূলতা বলে।

বর্তমান বিশ্বে অসংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে কিডনি রোগ অন্যতম। বাংলাদেশে দিন দিন কিডনি রোগের প্রকোপ বাড়ছে। বর্তমানে প্রায় দুই কোটি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে ভুগছে।

কিডনি রোগ মূলত দুই ধরনের উল্লেখ করে ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, এই দুটি হচ্ছে আকস্মিক কিডনি রোগ এবং ধীর গতির কিডনি রোগ। ধীর গতির কিডনি রোগের তিনটি প্রধান কারণ হচ্ছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নেফ্রাইটিস। প্রতি বছর ৪০ হাজার রোগী নতুন করে ধীর গতির কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগীর কিডনি কয়েক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায় তখন ডায়ালিসিস বা কিডনি সংযোজন ব্যতীত বাঁচার উপায় থাকে না।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here