দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলাতে ভাংরি ব্যবসার আড়ালে চলছে চোরাই সন্ডিকেট উপজেলার প্রতিটি হাটে ভাংড়ি মালামালের দোকানগুলো এখন চোরাই সিন্ডিকেট ও চোরাই কারখানায় পরিনত হয়েছে। ভাংড়ি ব্যবসার আড়ালে জমজমাট ভাবে চলছে নানারকমের অপরাধ এলাকার এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী দুষ্টুচক্রের জোগসাজসে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ভাংড়ি ব্যবসায়ীরা খুব জোরে- সোরে চালিয়ে যাচ্ছে। ভাংড়ি ব্যবসায়ী হাসান এর কাছে জানা যায়, শিশু শ্রম আইন অমান্য করে ভাংড়ি ব্যবসায়ীরা ৮-১০ বছরের শিশু টোকাই, নেশাখোর, চোর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালামাল সংগ্রহ করে গুদামজাত করে ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় স্পাত কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানায় পাঠায়।
এক এক জন ভাংড়ি ব্যবসায়ীর ব্যবসার আওতাধীন ৩০-৪০জন টোকাই, মহিলা দিনের বেলাই পরিত্যাক্ত কাগজ, পাস্টিক ও এলোমোনিয়াম কোড়ানোর অযুহাতে বিভিন্ন নির্মাধীন ভবন ও বাসাবাড়ীর দিক নির্দেশনা চিহ্নিত করে নেই এর পর রাতের বেলার টোকাই ও চোররা চিহ্নিত স্থানে হানা দিয়ে মূল্যবান লোহাজাত নির্মান সামগ্রী সহ ও বসত বাড়ীর ব্যবহারিত নানা জিনিস পত্র চুরি করে ভাংড়ি ব্যবসায়ীদের কাছে পৌছে দেয়। এভাবে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের চুরি ঘটনা ঘটছে। কিছু দিন পূর্বে কান্তনগর এলাকার ট্রাক্টর হাল ব্যবসায়ীর ট্রাক্টরের হাল খূলে নিয়ে গেছে চোরেরা। উপজেলার সর্ব বৃহত কাহারোল হাটে ১০-১২টি ভাংড়ির দোকান রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগীবলেন বেতন ভুক্ত ভ্রাম্যমান টোকাই ও মহিলার চোরেরা চুরিকৃত ইলেকট্রনিক্স তার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, টিউবওয়েল এর মাথা ও হেন্ডেল, পানির মোটর, ভাংগা ঢেউটিন, পাস্টিক পাইপ, শিক্ষা প্রতিষ্টানের ঘটিবাটি সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল নাম মাত্র মূল্যে ভাংড়ি ব্যবসায়ীরা এই টোকাইদের কাছ থেকে ক্রয় করে থাকে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সংকেত চৌধুরী/দিনাজপুর