দাম্পত্যের স্থায়িত্বেকলকাতা:  দাম্পত্যের স্থায়িত্বে বড় ভূমিকা নিচ্ছে ফেসবুক। একে অপরের ওয়ালে নিয়মিত ছবি কিংবা সেলফি পোস্ট কিংবা কমেন্টস করা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে অনেক বেশি পোক্ত করে তোলে। শুধু তাই নয়, উভয়ের ফেসবুক ব্যবহার সুখী দাম্পত্যের সহায়কও হচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন মুলুকে এক গবেষণায় এই তথ্যই উঠে এসেছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, দাম্পত্য জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে অনেক ক্ষেত্রেই ফেসবুকের ভূমিকা অনবদ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

টানা ছয়মাস ধরে দম্পতিদের ব্যবহার করা ফেসবুক নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিল আমেরিকার উইজকনসিন ম্যাডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আধ্যাপিকা ক্যাটালিনা টোমা। তিনি জানিয়েছেন, দম্পতিদের ওই ফেসবুক থেকে লক্ষ্য করা গিয়েছে, তাঁরা কাজের মধ্যে চূড়ান্ত ব্যস্ত থাকার মাঝেও ফেসবুক করছেন। নিজেদের ছবি পোস্ট করছেন। তাতে লাইক পড়ছে। নিজেরাও কমেন্টস করছেন। সবটাই হচ্ছে চোখের পলকে। একে অপরে জানতে পারছেন, কে কোথায় কীভাবে রয়েছেন।  কি করছেন। এসব কিছুই বাড়ির বাইরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব ঘোচাতে অন্যতম ভূমিকা নিচ্ছে। উভয়ের বোঝাপড়া আরও বেশি মসৃন হচ্ছে।

টোমা এই গবেষণা কাজের জন্য সি ফ্রেডশিপ বনামে একটি অ্যাপ্লিকেশনও চালু করে ছিলেন। তাতে ফেসবুক ব্যবহারকারী দম্পতিদের পোষ্ট করা বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখেছেন। ওইসব তথ্য দেখে টোমার মনে হয়েছে, প্রতিটি মানুষই চায়, তাঁর ভালোবাসার মানুষজনকে চিনুন-জানুন। মানুষের এই চাওয়া শুধু আজকের জন্য নয়, অনেকদিন ধরে তা চলে আসছে। এখন যা ফেসবুক, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং মাধ্যমে সেটা এখন আমাদের তালুবন্দি।

মানুষ জানতে চায়, পৃথিবী দেখুক আমরা কত সুখী। তাই তাঁরা কখনও একে অপরের ফেসবুক পোস্ট করেন। কখনও দুজনের জয়েন্ট ছবি পোষ্ট করে ফেসবুক বন্ধুদের কাছে নিজেদের দাম্পত্য জীবনের আনন্দ মুহূর্তগুলিকে শেয়ার করার চেষ্টা করেন। বিবাহ সম্পর্কের মাধ্যমে একে অপরকে ভালোবাসার বার্তা ও ফেসবুক দেওয়ার আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে নব দম্পতিদের। আর তাতে তাঁদের দাম্পত্য জীবনের ভিতটাও তৈরি হয় খুব শক্তভাবে। মনে করে টোমা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here