মিলন কর্মকার রাজু কলাপাড়া প্রতিনিধি :: দশম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে আটদিন দৈহিক সম্পর্কে বাধ্য করা হয়েছে। এরপর অন্তরঙ্গ মুহুর্তের বিভিন্ন ধরনের ছবি মোবাইলে তুলে ইন্টারনেটে ও ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে সব ঘটনা চেপে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। এমনকি এক পর্যায়ে বিয়ের কথা বলে বাড়িতে নিয়ে প্রেমিক কলেজ ছাত্র নাইমুল ইসলাম কৌশলে সটকে পড়েছে।
এ সুযোগে নাইমুলের বাবা আবুল হোসেন, মা ময়না বেগম, বোন জুলিয়া বেগম, বোন জামাই মো. ইব্রাহিমসহ কয়েকজন মিলে স্থানীয় মস্তান বাহিনী ডেকে খুনের ভয় দেখিয়ে হোন্ডায় তুলে নাইমুলের বৈদ্যপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে কিশোরীকে কোম্পানিপাড়া তার বাবার বাড়িতে রেখে যায়। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
কিশোরী জানায়, মানসিকভাবে সে অচেতন হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপরও প্রতারক প্রেমিক নাইমুল ফের নিজেকে রক্ষার জন্য নানান কৌশল করে। নতুন করে ফন্দি আটে। ফের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ৬ জুন থেকে ১৩ জুন বাড়িতে নিয়ে দৈহিক ভোগ করে। নির্যাতিতা কিশোরী সরলমনে সব মেনে নিয়ে ঘর সংসার করার স্বপ্নে বিভোর হয়। এমনকি কলাপাড়া উপজেলা মহিলা অধিদফতর কার্যালয়ে গিয়ে ৩০০ টাকার স্ট্যাপ্তে বিয়ের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয় নাইমুল।
নাইমুলের কথা সরল মনে বিশ্বা করে তার সঙ্গে ঈদের দিন ফের ওই বাড়িতে যায় প্রেমিকা কিশোরী। কিন্তু নাইমুলের বাবা-মা বিয়েতে অস্বীকার জানায়। একারনে তাকে ফেলে রেখে সটকে পড়ে নাঈমুল। তাড়িয়ে দেয়া হয় কিশোরীকে।
এরপর থেকে অসহায় দরিদ্র কিশোরী তার সর্বস্ব হারিয়ে অসহায়ের মতো দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকে। কোন উপায় না পেয়ে স্বামীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রোববার রাতে কলাপাড়া থানায় প্রতারক প্রেমিক নাইমুলসহ ৬জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
পুলিশ ওই রাতেই নাইমুলের বাবা আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া ওই কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছে।
বর্তমানে দরিদ্র পরিবারের এ কিশোরী তার বাবাসহ গোটা পরিবারের প্রয়োজন আইনি সহায়তা এবং নিরাপত্তা।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ওসি জিএম শাহনেওয়াজ জানান কিশোরীসহ তার পরিবারের নিরাপত্তা দেয়া হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।