জানাযায়,গতকাল শনিবার ইফতার শেষ করে চার সহকর্মীসহ নিজ দোকানে যান সোহাগ। এর কিছুক্ষণ পর ৬-৭ জন সেখানকার স্থানীয় সন্ত্রাসী দোকানে এসে হামলা চালিয়ে লুটপাট শুরু করে। হামলার সময় দোকানে থাকা অপর সবাই নিচে শুয়ে পড়লেও সোহাগ পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলেন। লুটপাট শেষে সন্ত্রাসীরা সবাইকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে সোহাগ ও তাদের দোকানের প্রহরী গুলিবিদ্ধ হন। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সোহাগের মৃত্যু হয়। তার মাথাসহ গলার অংশে একাধিক গুলি লেগেছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জীবিকার সন্ধানে গত ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান সোহাগ। গত বছর বাড়িতে এসে বিয়ে করে নয় মাস ছিলেন তিনি। গত বছর পঞ্চম রমজানে বাড়ি থেকে আফ্রিকায় যান সোহাগ। এরই মধ্যে তার একটি ছেলেসন্তান হয়। সন্তানকে দেখার জন্য ইদের পর বাড়িতে আসার কথা ছিল সোহাগের।
নাটেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন খোকন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।