বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দু’দিনের সফরে আগরতলায় পৌঁছবেন৷ ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে তিনি গ্রহণ করবেন সান্মানিক ডি-লিট উপাধি৷ তাঁকে দেয়া হবে নাগরিক সম্বর্ধনা৷

 বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ বিমানে পৌঁছবেন আগরতলার সিঙ্গারবিল বিমানবন্দরে আগামীকাল অপরাহ্নে৷ বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিব্বাল৷ থাকবেন অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা৷ শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি ও অন্য পাঁচজন মন্ত্রীসহ বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ীদের ৫০ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল৷

প্রথমদিনে উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, ত্রিপুরার রাজ্যপাল ড. ডি.ওয়াই পাটিল, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ৷ পরে তাঁর সম্মানে নৈশভোজ৷

বৃহস্পতিবার সকালে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম সমাবর্তন উৎসবে শেখ হাসিনাকে সান্মানিক ডি-লিট উপাধি দেবেন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসরি৷ উপমহাদেশে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নারীর ক্ষমতায়নের স্বীকৃতি হিসেবেই এই উপাধি, ডয়চে ভেলেকে সেকথাই জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অরুণোদয় সাহা৷ তার আগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তিনি রবীন্দ্রনাথের একটি মূর্তির আবরণ উন্মোচন করবেন৷ দ্বারোদ্ঘাটন করবেন রবীন্দ্র মুক্তাঙ্গন নাট্যশালার৷

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পর এই প্রথম কাউকে দেয়া হলো সন্মানসূচক ডি-লিট উপাধি৷ উপাচার্য অরুণোদয় সাহা ডয়চে ভেলেকে আরো জানালেন, যে জায়গায় এই বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা এখানেই থাকতেন৷ বিকেলে আগরতলা পুরসভা শেখ হাসিনাকে দেবে নাগরিক সম্বর্ধনা৷

বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি দুদেশের সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে৷ সীমান্ত হাট আরো বাড়ানোর দাবি উঠবে৷ বাংলাদেশকে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত৷

পাশাপাশি  ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করা হলো৷ দুদেশের মধ্যে কন্টেনারবাহী ট্রেন ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’এর সময় কম করার বিভিন্ন ব্যবস্থাদিও বিবেচনাধীন৷

সুশীল সমাজের অভিযোগ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিরাট অবদান রাখা সত্ত্বেও বাংলাদেশ যেন উপেক্ষা করে এসেছে ত্রিপুরাকে৷ কোন প্রধানমন্ত্রী  আসেননি এই রাজ্যে৷ ১৫ লাখ বাংলাদেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল এই রাজ্য৷এই রাজ্যে শিবির স্থাপন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা৷ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একটি পর্বে আগরতলা থেকে অনুষ্ঠান প্রচার করেছিলেন শব্দসৈনিকরা৷

ইউনাইটেড নিউজ ৪ ডট কম/স্টাফ রিপোর্টার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here