স্টাফ রিপোর্টার :: মহামারী সময়ে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদেরকে টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে উল্লেখ করে ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের সহায়তার লক্ষ্যে সরকারকে উদ্যোগী হওয়া আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ- বিল্স এর এফএনভি প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে “কোভিড-১৯: তৈরি পোশাক শিল্পে শোভন কাজের পরিস্থিতি পর্যালোচনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আজ ২৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বিল্স ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসাইন এর সভাপতিত্বে এবং বিল্স ভাইস চেয়ারম্যান ও ইন্ডাষ্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের ঢাকা- মিরপুর ক্লাস্টার কমিটির সমন্বয়কারী আমিরুল হক আমিনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিল্স এর উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপ এর যুগ্ম সমন্বয়কারী নইমুল আহসান জুয়েল।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ইন্ডাষ্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল-আইবিসি সাধারণ সম্পাদক চায়না রহমান, ইন্ডাষ্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল টঙ্গী-গাজীপুর ক্লাস্টার কমিটির সমন্বয়কারী সালাউদ্দিন স্বপন, বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ওয়ার্কার্স সলিডারিটির সভাপতি রুহুল আমিন, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ বাদল এবং বিল্স পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে তৈরি পোশাক শিল্পের ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপ নেতৃবৃন্দ, ইন্ডাষ্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিল্স কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ৮ নং লক্ষ্য সবার জন্য শোভন কাজ নিশ্চিত করা। আর সেই লক্ষ্য অর্জনে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্র উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। কিন্তু বছর বছর প্রবৃদ্ধির হার উর্ধ্বমুখী হলেও পোশাক শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের হার নিম্নমুখী। তার অন্যতম প্রধান কারণ হল আমাদের জাতীয় উন্নয়নের সাথে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। করোনার ভয়াবহ সংকটের সময় তৈরি পোশাক শিল্প খাতের শ্রমিকদের জীবনযাত্রার শোচনীয়তা আরো প্রকটভাবে আমাদের সামনে আসে। লকডাউন চলাকালীন সময়ে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি না পাওয়া, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা, কারখানা খোলা ও বন্ধ রাখার বিষয়ে বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্তের কারণে এই শিল্পের শ্রমিকরা সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হয়।
এছাড়া আবাসস্থল সংকট, বিনা নোটিশে শ্রমিক ছাঁটাই, লেঅফ ঘোষণা ও এই প্রাদুর্ভাবের সময় সামাজিক দুরত্বকে তুচ্ছ করে শ্রমঘন এলাকাগুলোতে বেতন আদায়ের জন্য শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সবকিছু মিলিয়ে এই মহামারীর সময়েও তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদেরকে টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে।