শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে চার দিনব্যাপী এই লংমার্চ শুরু হয়৷ দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সুনেত্র ও রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনসহ সাত দফা দাবিতে এই লং মার্চ শুরু করা হয়৷
জাতীয় কমিটির অন্য ছয় দফা দাবি হলো – চলতি অধিবেশনেই সংসদে খনিজসম্পদ রপ্তানি নিষিদ্ধকরণ আইন পাস, বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে আর উৎপাদন বণ্টন চুক্তি না করা, প্রচলিত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন, কনোকো-ফিলিপসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল, ফুলবাড়ি চুক্তি বাস্তবায়ন এবং বড়পুকুরিয়া খনি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া৷ ইতোমধ্যে প্রথমবারের মতো ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ করে রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে প্রায় এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ নতুন করে শনাক্ত করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স৷ এ ছাড়া আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণায় সুনেত্র গ্যাস ক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালাবে পেট্রোবাংলা৷
বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন করলে দেশের চলমান গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সঙ্কট কখনোই দূর হবে না – এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে আনু মুহাম্মদ বলেন, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন করলে অনেক বেশি দামে তাদের কাছ থেকে নিজেদের গ্যাস নিজেদেরকেই কিনতে হয়৷ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ, কমিটির আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিমা আখতার হোসাইন প্রমুখ৷
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্টাফ রিপোর্টার