তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এতে কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ শহীদুল্লাহ ও অধ্যাপক রেহনুমা খানমসহ কমপক্ষে ২৫/৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সকালে কমিটির বিক্ষোভ মিছিলটি জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশে রওনা হলে তোপখানা রোডে পুলিশ মিছিল লক্ষ্য করে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
পরে মিছিলটি আবারো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফিরে আসে এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী জানান, আমাদের পাঁচ কর্মীকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, মলয় সরকার, হাসান তৌফিক এনাম, মনোয়ার মাসুদ, স্বপন ও খোকন।
এদিকে, মিছিলে পুলিশের বাধা, লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপের প্রতিবাদে আগামী ২ জানুয়ারি সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ।
এরআগে মিছিল পূর্ব সমাবেশে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকার আবারো দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনি খননের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু সেখানে যে ডাকাতরাই যাক না কেন, তারা জীবিত ফিরতে পারবে না।’
জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিকে মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’
এ সময় এ আন্দোলনে জনগণকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে কমিটির এই নেতা বলেন, ‘জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে দেশি-বিদেশি দুর্বৃত্তদের রুখতে না পারলে এই দেশে দারিদ্র্য ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে।’
শাহবাগ থানার ওসি জানান, মিছিল থেকে ভাঙচুর ও নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে জানা গেছে। তাই শুরুতেই মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা