ডেস্ক রিপোর্টঃঃটঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের (সাদপন্থী) প্রথম দিন শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর দেড়টার দিকে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী এ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ইজতেমার উদ্দেশ্যে আসা মুসল্লি ছাড়াও জুমার নামাজের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ইজতমা ময়দানের আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া দেশের বৃহত্তম এ জুমার নামাজে অংশ নিতে শুক্রবার সকাল থেকেও মুসল্লিরা আসছেন।

পরপর দুই বছর ইজতেমা না হওয়ায় এবারের ইজতেমায় সাধারণ মুসুল্লিরাও উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আগেভাগেই অবস্থান নিয়েছেন এবং অধিক সংখ্যক মুসল্লি হয়েছে। অনেকেই মূল সামিয়ানার নিচে স্থান না পেয়ে কামারপাড়া সড়কের পাশে ফুটপাতে পলিথিন টানিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।

দেশের বৃহত্তম জামাতে অংশ নিতে ভোরে রওনা দিয়েছেন গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা মো. আল আমিন। তিনি বলেন, আমি প্রতিবছরই ইজতেমায় আসতাম। আগে চাকরি ছিল না। এখন একটি কারখানায় চাকরি করি। ছুটি চেয়ে পাইনি, তাই ইজেতমায় আসতে পারিনি। আজ শুক্রবার ছুটির দিন, তাই সারাদিনই ইজতেমায় কাটাব, লাখো মানুষের সঙ্গে জুমার নামাজ পড়ব।

জুমার নামাজে অংশ নিতে উত্তরা থেকে এসেছেন আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রথম পর্ব বা দ্বিতীয় পর্ব বলে কোনো ভেদাভেদ নেই। সন্তানকে ইজতেমা, ইসলাম বুঝাতে নামাজের অনেক আগেই চলে এসেছি।

দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বলেন, মাঠ বুঝে নেওয়ার পরপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেন। তারা ময়দানের নির্দিষ্ট খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। মুসল্লিদের জন্য দুই দিন আগে থেকেই প্রাথমিক আমবয়ান শুরু হলেও ইজতেমার মূল পর্ব আজ শুক্রবার বাদ ফজর থেকে শুরু হয়েছে। ইজতেমা ময়দান ইতোমধ্যে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আরও মুসল্লি বাস, ট্রাক, পিকআপ, ট্রেন ও নৌপথে ময়দানের উদ্দেশ্যে আসছেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ইজতেমা ময়দানকে কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে ময়দানের আশপাশে ৭ হাজার ৫৩৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। ইজতেমাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রথম পর্বে যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল এবারও ঠিক আগের মতোই নিরাপত্তা ব্যবস্থা অটুট থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here