ডেস্ক রিপোর্টঃঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রেু সীমান্তে শূন্যরেখা এলাকায় দফায় দফায় গোলাগুলি চলছে। ১৭ জানুয়ারি রাত থেকে থেমে থেমে ক্যাম্পের দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে এই গোলাগুলি চলছে।

এর মধ্যেই সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রায় ৫শ ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আশ্রয়হারা রোহিঙ্গারা স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য দীল মোহাম্মদ ভুট্টো জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি রাতে সৃষ্ট গোলাগুলি এখনও থামেনি। গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত ও আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালেও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।

তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকালেও এখানে গোলাগুলি হয়েছে। আগুনে আমাদের শিবিরের ৬২১টি পরিবারের মধ্য প্রায় ৫শ বসতঘর পুড়ে গেছে। এসব লোকজন অধিকাংশ মিয়ানমার সীমানার ভেতরে আশ্রয় নিয়েছে। আবার কিছু মানুষ বাংলাদেশেও আশ্রয় নেয়।

শূন্যরেখা থেকে শিবিরটি উচ্ছদ করতে একটি সশস্ত্র গ্রুপ আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও দাবি এই রোহিঙ্গা নেতার।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, ‘শূন্যরেখায় হওয়ায় আন্তর্জাতিক আইনে আমাদের হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার নেই। তবে শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবিরে অধিকাংশ বসতঘর পুড়ে গেছে বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি।’

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here