আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর ড. সদস্য মহিউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি আলোচনার ভিত্তিতে পরে হবে- এটি সরকারের পূর্বপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কিছু নেই।
মঙ্গলবার সকালে পাবলিক লাইব্রেরিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মহিউদ্দীন খান বলেন, বর্তমান সরকার ভারতের সাথে ৮টি প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। সেখানেই উল্লেখ আছে, তিস্তা নিয়ে পরে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসবে দুই দেশ।
তিনি বলেন, বিগত সরকার তিস্তা সমস্যা সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। কিন্তু এই সরকার শিগগিরই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাবে।
বিগত চারদলীয় জোট সরকারকে চোর-বাটপার ও ডাকাতের সরকার আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এখন দুধে ধোয়া তুলশি পাতা সেজে গণতন্ত্রের অংশীদার দাবি করার নৈতিক অধিকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেই।
খুলনায় কয়লা বিদ্যুতকেন্দ্র হতে দেয়া হবে না- সম্প্রতি রোড মার্চে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাবে তিনি আরো বলেন, বিদ্যুতের মাধ্যমে শিল্পের উৎপাদন ও কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধ হোক, এটা তিনি (খালেদা) চান না। তার ইচ্ছা, জাতি অন্ধকারে থেকে বিএনপিকে অন্ধভাবে সমর্থন করুক।
দেশের মানুষ অনেক বেশি সচেতন। তাই খালেদার এই আশা পূরণ হবে না বলেও মন্তব্য করেন মহিউদ্দীন খান আলমগীর।
তিনি জানান, খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সুশাসনের কথা বলেছেন। এই বিচারের প্রসঙ্গে কথা বলার কোনো অধিকার তার নেই। কারণ তিনি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে আন্দোলন করছেন।
অনুষ্ঠানে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকট কামরুল ইসলাম বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সাথে নিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা দিয়ে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বিএনপি।
তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই দেশে সংসদ নির্বাচন হবে। সরকার আজিজ মার্কা নির্বাচন করবে না। তাই বিরোধিতা না করে সরকারকে সহযোগিতা করার আহবান জানান তিনি।
কামরুল আরো বলেন, বিএনপি তারেক রহমানকে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক করতে চায়। কিন্তু তাকে জনগণ মেনে নেবে না। তারা কোনো চোর-বাটপারকে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেখতে চায় না।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা