স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাকিস্তানের সাবেক তিন ক্রিকেটার সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমের এবং তাদের এজেন্ট মাজহার মাজিদকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদন্ড দিয়েছে বৃটেনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্ট। বৃহস্পতিবারে ঘোষিত রায়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটার সাবেক অধিনায়ক সালমান বাটকে আড়াই বছর, পেসার আসিফকে এক বছর এবং আমেরকে ছয়মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন লন্ডন আদালত।প্রায় চার সপ্তাহ শুনানি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করে আদালত। ২০১০‘র আগস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে
স্পটফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত থাকায় পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট, পেসার মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমেরকে অভিযুক্ত করে আদালত। তিন ক্রিকেটারের মধ্যে অধিনায়ক সালমান বাটের শাস্তি সর্বোচ্চ। তবে ঐ ঘটনায় ক্রিকেটারদের এজেন্ট বৃটিশ নাগরিক মাজহার মাজিদকে কারাদন্ডে দন্ডিত করেছে সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্ট। ৩৬ বছর বয়সী মাজিদকে দুই বছর আট মাস হাজত বাস করতে হবে। আদালত অভিযুক্ত চার ব্যক্তির উদ্দেশ্যে বলেন,‘যতই অযুহাত দেখানো হোক না কেন এ ধরনের অপরাধ এতটাই মারাত্মক যে কারাদন্ডই এর উপযুক্ত সাজা হতে পারে।’ বিচারপতি জেরেমি কুকি ক্রিকেটারদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৈধভাবেই বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করা সত্ত্বেও ওই তিন ক্রিকেটার অর্থের লোভ সামলাতে পারেননি। তিনি মনে করেন কঠিন শাস্তি ভবিষ্যতে অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১০ সালের লর্ডস টেস্টে ‘পূর্ব পরিকল্পনা’ অনুযায়ী দু’টো নো’ বল করেন আমের। এর দায়ভার নিজের ওপর নিয়ে বিচার পূর্ব শুনানিতেই গত ১৬ সেপ্টেম্বর স্বীকারোক্তিমূলক লিখিত বক্তব্য দেন এই টিনেজ পেসার। নিজের এই দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আমের বলেছেন, ‘প্রচন্ড চাপ’-এর মুখে বাধ্য হয়ে তিনি স্পট ফিক্সিং-এ জড়িত হন। এই অপকর্মে যুক্ত না হলে তাকে দল থেকে বাদ দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন আমের।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্পোর্টস নিউজ