বালিকা বধু
-তাহমিনা কোরাইশী
আজ আর আলপথে হাঁটে না সে
হাঁটে না কাদামাটি দূর্ব্বা ঘাসে পা ফেলে ফেলে
ইট সুরকির পিচঢালা পথ পীড়নে জুতোর সুকতলা যায় খসে
করকমলে হিসেব কোষেও আসে না শুকসারি
ধর্য্যের আঁখিতে করকা বৃষ্টিপাত
এক বাও মেলে না মিল আমিলে নিরন্তর
কুলুর বলদ হতে হয়
পরিশ্রমে পরিশ্রান্ত উত্তরনের যে ধাপ সেখানে দাঁড়িয়ে সে
এমনই এক অবয়বে দেখতে চেয়েছিলে তুমিই তাকে
তাই পূর্ণ শ্রাবনঢলে স্রোতাস্বনী নদী জলে
দিয়েছিলে শিখতে সাঁতার
কিছুটা সময় হাতপা ছুড়াছুড়িতে –
কিছুটা সময় জলে ডুবন্ত শরীর
জীবনের স্বচ্ছ আয়নায় ছিল অক্ষমতার জমাটবদ্ধ মেঘাম্বর
এলো সেই ক্ষণ পার্থিব নবারুনের বিভাস
আজ আর ভয় নেই সাঁতারে
নেই ভয় মাঝ নদীতে নৌকার মাঝি হতে
অতলান্ত সেই কালো জল কূলের স্বপ্ন দিয়েছে গড়ে
বুদ্ধিদীপ্ত উদ্ভাসিত সেই মুখাবয়
জেনে ছিল বুঝি ক্ষনজন্মা নিজেকে…
তাই তো কি এক যাদুমন্ত্র বলে গ্রাম্য অবলারে
হতে হয়েছিল স্বশিক্ষিত স্বয়ম্ভু
করোটিতে তার আজ রাজ্যেশ্বরী টিকা
তোমারই আলোয় স্নাত সে হয়েছে তাই সূর্যমুখী।