তাসকিন-সানি নিষিদ্ধ
তাসকিন-সানি নিষিদ্ধ

ডেস্ক নিউজ :: শেষ পর্যন্ত শঙ্কাই সত্যি হলো। দেশের ক্রিকেটের জন্য দুটি বড় দুঃসংবাদই নিয়ে এলো শনিবারের দিনটি। বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ায় বাংলাদেশ দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ আর বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানিকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

শনিবার আইসিসি তাদের ওয়েবসাইটে খবরটি নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনও সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরাফাত সানির কিছু ডেলিভারিতে অ্যাকশন নিয়ে আসলেই সমস্যা ছিল। তিনি সাময়িক নিষিদ্ধ হবেন এটা অনুমিত ছিল। কিন্তু তাসকিন! বিষয়টা অবিশ্বাস্যই ঠেকবে অনেকের কাছে। কিন্তু ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে ডানহাতি এই পেসারের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করেছে। দুই বোলার নিষিদ্ধ হওয়ার সংবাদে বড়সড় একটা ধাক্কাই খেয়েছে ব্যাঙ্গালুরুতে অবস্থানরত বাংলাদেশ দল।

জানা গেছে, টি২০ বিশ্বকাপে তাসকিনের জায়গায় পেসার কামরুল ইসলাম রাবি্বকে পাঠাবে বিসিবি। আলোচনায় আছে ব্যাটসম্যান শুভাগত হোম আর পেসার মোহাম্মদ শহীদের নামও। সানির স্থলাভিষিক্ত হিসেবে শনিবারই ভারতে পেঁৗছে গেছেন বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজীব।

শনিবার সানির খবরটা আগে আসে। হল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ মার্চ ধর্মশালায় প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ থেকে সমস্যাটা বের হয়। ওই ম্যাচের পর আইসিসির ম্যাচ রেফারি বাংলাদেশকে জানিয়ে দেন বাঁহাতি স্পিনার সানি এবং ডানহাতি পেসার তাসকিনের অ্যাকশন নিয়ে আম্পায়ারদের সন্দেহের বিষয়টি।

এরপর ১২ মার্চ সানি ও ১৫ মার্চ তাসকিন ভারতের চেন্নাইয়ে শ্রী রামচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে বায়ো-মেকানিক্যাল পরীক্ষা করা হয় তাদের। শনিবার সেই পরীক্ষার ফলই জানিয়েছে আইসিসি।

নিজস্ব ওয়েবসাইটে আইসিসি জানিয়েছে, আরাফাতের অ্যাকশন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে তার অধিকাংশ ডেলিভারিতে সমস্যা আছে। বেশিরভাগ ডেলিভারিতে আইসিসি নির্ধারিত ১৫ ডিগ্রির চেয়ে বেশি বেঁকে যায় তার কনুই। তবে আইসিসি জানাচ্ছে, তাসকিনেরও সব ডেলিভারি বৈধ না। আরো নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি তারা।

এখন অ্যাকশন শুধরে আবার পরীক্ষা দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে হবে সানি আর তাসকিনকে। এর ফলে বিশ্বকাপের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে আর মাঠে নামতে পারছেন না দুই বোলার।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here