ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বৃটিশ সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা থেকে তারেক রহমানকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আনুষ্ঠানিক এ চিঠিতে বলা হয়েছে, পলাতক আসামি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের ইস্যু গ্রেফতারি পরোয়ানাটি ঢাকার জাতীয় অপরাধ প্রতিহত কমিটি থেকে বৃটেনের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোতে (এনসিবি) পাঠানো হয়েছে। ওই আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বৃটিশ সরকারকে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে অবৈধ অর্থ লেনদেনের মামলায় তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দেশ দেন আদালত। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি ইন্টারপোলকেও জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করে দুদক। পরের বছর ৬ জুলাই অভিযোগপত্র দেয়া হয়। চার্জশিট দাখিলের এক বছর পর ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, টঙ্গীতে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। এরপর গিয়াসউদ্দিন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের সিটিব্যাংক এনএতে তার নিজের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এই টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন। এ ছাড়া গিয়াসউদ্দিন ছয় কোটি এক লাখ ৫৭ হাজার টাকা তার বৃটেনের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন তার বড় ছেলে তারেক রহমান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তিনি। পরে তার জামিন নিম্ন আদালত থেকে বাতিল করা হয়। এরপর আদালতে যথাসময়ে হাজির না হলে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তাকে পলাতক দেখিয়ে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মালামাল জব্দের পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর আর তারেক রহমান দেশে ফেরেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here