ডেস্ক রিপোর্ট::  বক্তব্যের জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। তিনি বলেন, ‘আমি বলি তলে তলে সব ঠিক হয়নি, তলে তলে বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে প্রস্তুত হচ্ছে।’

শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন কালভার্ট রোডে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে দলটি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করছি, আমাদের এই বাংলাদেশ স্বাধীন বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে লাখো মানুষ ত্যাগ করেছে, জীবন দিয়েছে।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সহকারী মহাসচিব হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, অধ্যাপক নাছির উদ্দীন প্রমুখ।

মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা যা বলে তা করে না। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সে দামে বিক্রি হয় না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তবে সব বন্ধ করে বসে থাকবো। তার অবস্থা দেখে মনে হয় দেশের মানুষ সব কি ভেসে এসেছে?

মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী বলেন, অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে না সরানো পর্যন্ত আমরা নীরব, নিস্তব্ধ হবো না।

মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, আমরা বিদেশিদেরকে চাই না, আমাদের দেশ আমরাই গড়ব। অতীত ও বর্তমানে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা সবাই ব্যর্থ হওয়ায় মানুষ ইসলামী আন্দোলনের দিকে আসছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা-কর্মীরা পেট নীতি করে না, তারা ইসলামী আন্দোলন করে। তিনি বলেন, আমরা দেশবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ধোঁকাবাজি করে সংসদে যেতে চাই না।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here